Naya Diganta

জুনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ছাড়িয়েছে ৪২ শতাংশ

গত জুন মাসে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২ দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৭৬টি। এতে নিহত হয়েছেন ৫২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৮২১ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৮ জন ও শিশু ৭৩ রয়েছে। ১৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০৪ জন। দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৬ জন। এ সময়ে আটটি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৬ জন আহত হয়েছেন এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। গতকাল রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঘটেছে ভোরে। সকালে ঘটেছে ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দুপুরে ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিকেলে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও রাতে ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ ঘটেছে।
দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫ দশমিক ০৫ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ৮ দশমিক ২০ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও প্রাণহানি ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ ও প্রাণহানি ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এ ছাড়া রাজধানীতে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ১১৭টি। এসব দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে।