Naya Diganta

আমতলীতে ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাই হাসপাতালে

আমতলীতে ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাই হাসপাতালে

বরগুনার আমতলীতে বড় ভাই ইসমাইল খাঁনকে (৭৫) ছোট ভাই স্কুলশিক্ষক মো: মেসবাহ উদ্দিন আনসার খাঁন (৫৮) ও তার ছেলে আসিফ রানা রাহাত (৩০) মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত বড় ভাই ও তার ছেলে ফেরদৌস খান কিসলু (৩২) পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিচিৎসাধীন রয়েছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক মেসবাহ বড় ভাই ইসমাইলকে পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন, এমন অভিযোগ বৃদ্ধ বড় ভাই ইসমাইল খাঁনের। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে গত ১০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা ওই জমির সীমানা নির্ধারণের কাজ করছিলেন। এমন সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় ছোট ভাই মেসবাহ ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাইকে মারধর শুরু করেন। বাবাকে রক্ষায় ছেলে ফেরদৌস এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছোট ভাই ও তার ছেলে আসিফ রানা রাহাত পালিয়ে যান। দ্রুত স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছোট ভাই মেজবাহ কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

প্রত্যক্ষদর্শী মান্নান বিশ্বাস, আব্দুল হক খাঁন, সেকান্দার প্যাদা ও হালিম মাদবর বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে ছোট ভাই মেসবাহ উদ্দিন বৃদ্ধ বড় ভাই ইসমাইল খান ও তার ছেলেকে মারধর করেছে।

বৃদ্ধ ইসমাইল খাঁন বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে ছোট ভাই মেসবাহ বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ঠকিয়ে আসছে। ওই জমির হিসেব চাইতে গিয়ে বেশ কয়েকবার লাঞ্ছিত হয়েছি। আজ আমাকে মেরেই ছাড়লো।’

তিনি আরো বলেন, ‘ছোট ভাইকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ হিসিবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিদান পেলাম। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

ছোট ভাই মেসবাহ উদ্দিন আনসার খাঁন মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে