Naya Diganta
রক্তশূন্যতা পূরণে কচু খাওয়ার পরামর্শ

বারি উদ্ভাবিত কচু কাঁচাও খাওয়া সম্ভব : দাবি উদ্ভাবকের

রক্তশূন্যতা পূরণে কচু খাওয়ার পরামর্শ
রক্তশূন্যতা পূরণে বেশি করে কচু খাওয়ার পরামর্শ কৃষিবিজ্ঞানীর

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তার কচু ফসলের পুষ্টি গুণাগুণ ও এর গুরুত্ব তুলে ধরে রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশি করে কচু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বারি উদ্ভাবিত কচু ফসলের জাতগুলো গলায় ধরে না এবং সমানভাবে সিদ্ধ হয়, কোনো কচকচে ভাব থাকে না। এছাড়া এ জাতগুলো উচ্চফলনশীল হওয়ায় সারা দেশে এর চাহিদা ও চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত ২০ বছরে কচু ফসলের উৎপাদন-এলাকা ও মোট উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিকচুর লতি ও মুখীকচু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বারি’র কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে সোমবার বারি উদ্ভাবিত পানিকচু ফসলের বিভিন্ন জাতের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।

গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দস্যু নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক মো: আফজাল হোসেনের মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘কচু ফসলের জিন পুলসমৃদ্ধ, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নত জাত বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ কর্মসূচি’র অর্থায়নে আয়োজিত এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এলাকার ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কর্মসূচি পরিচালক ড. মো: ছামছুল আলম পানিকচুর নতুন জাত ‘বারি পানিকচু-৭’-এর গুণাগুণ বর্ণনা করে বলেন, এ জাতটি মূলত রাইজোম বা কাণ্ড উৎপাদন করে এবং অল্প পরিমাণে লতিও উৎপন্ন হয়। এ জাতের রাইজোম কাঁচা অবস্থায়ও খাওয়া সম্ভব। তাই এ এলাকার কৃষক-কৃষাণীগণ বারি উদ্ভাবিত পানিকচুর জাতগুলোর উচ্চ ফলনশীলতা ও উন্নত গুণাগুণের কারণে চাষাবাদে উৎসাহিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মোশাররফ হোসেন মোল্লা, কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক এবং কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।