Naya Diganta

পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭

পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাওনা টাকার জন্য জিমি বেগমকে (৩০) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে মোল্যা ও তার লোকজন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জিমির স্বামী নুর আলম মুন্সিকে (৩৫) ফরিদপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নুর আলমের ভাই হাবিবুর রহমান মুন্সী মুকসুদপুর থানায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সাত আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামে নুর আলম পেশায় একজন কৃষক। আর্থিক সংকটের কারণে ইরি ধানের মৌসুমে চাষাবাদের জন্য একই গ্রামের হালিম মোল্যার ছেলে অসিম মোল্যার নিকট থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ঋণ নেয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত টাকা মৌসুম শেষে ছয় মাস পরে তাকে ফেরত দিবে এবং অতিরিক্ত ৫০ মণ ধান দিবে। এই টাকা নেয়ার সময় গ্রান্ডটার হিসেবে স্ত্রী জিমি আক্তারের নামের ব্যাংকের চারটি চেক অসীম মোল্যাকে প্রদান করে। এ বছর আকস্মিক বর্ষার পানি চলে আসায় ধান সম্পূর্ণ ভাবে বিনষ্ট হয়। এতে করে ঋণ নেয়া টাকা যথাসময়ে ফেরত দিতে পারেনি এই দম্পত্তি। এ নিয়ে একাধিকবার তাদের মারপিট ও খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় ভাবে একটি মৌখিক আপোষ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আগামী ৩০শে কার্তিক ঋণকৃত টাকা ফেরত দেয়ার কথা ছিল।

কিন্তু রোববার রাতেই অসিম মোল্যা তাদের বাড়িতে সালিশের কথা বলে স্বামী-স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় রাত সোয়া ১১টার দিকে। সেখানে অসীম মোল্যা ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্বামী নুর আলম মুন্সী ও স্ত্রী জিমি আক্তারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জিমি বেগম সেখানে মারা যান। তার স্বামী নুর আলমের অবস্থার অবনতি দেখে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মুকসুদপুর থানার ওসি মোঃ আবু বকর মিয়া জানান, এ ব্যাপারে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।