Naya Diganta

একনায়কতন্ত্রের পথে তিউনিসিয়া

নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে তিউনিসিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ কর্তৃক ঘোষিত প্রস্তাবিত খসড়া সংবিধানের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল ও অ্যাকটিভিস্টরা এ অভিযোগ করেছেন। অ্যাকটিভিস্টরা খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে দাবি করছেন, কায়েস সাঈদ খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ ও শর্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অস্পষ্ট শব্দের ব্যবহার করেছেন। তিনি হয়তো এসবের দ্বারা রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে দেশ শাসন করার কথা উল্লেখ করেন।
আগেই প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছিলেন, তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম আর ইসলাম থাকবে না। তিউনিসিয়ার জনগণকে মুসলিম উম্মাহ বলা হবে। কিন্তু ইসলাম তাদের রাষ্ট্রধর্ম থাকবে না। এর আগে গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার সংবিধান কমিটির প্রধান সাদেক বেলাইদও প্রস্তাবিত সংবিধানকে দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। আইনের এই অধ্যাপককে ‘নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্য নতুন সংবিধান’ প্রণয়নে নিয়োগ দিয়েছিলেন কায়েস সাঈদ। বেলাইদ বলেন, সাঈদ সংবিধানের যে সংস্করণ তৈরি করেছেন তা বিপজ্জনক এবং সংবিধান কমিটির প্রস্তাবিত প্রথম খসড়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।
তিনি আশঙ্কা করেন, চূড়ান্ত খসড়া সংবিধানে এমন অধ্যায় রয়েছে যা একটি অসম্মানজনক স্বৈরাচারী শাসনের পথ প্রশস্ত করতে পারে। কারণ প্রস্তাবিত সংবিধানটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কায়েস সাঈদকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেবে। সংবিধান নিয়ে এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ।
আগামী মাসে এ সংবিধানের ব্যাপারে একটি গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কায়েস সাঈদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তার ব্যাপারে ব্যাপক সমালোচনা করছে।