Naya Diganta

অ্যানহিংগা

জানো, অ্যানহিংগা একটি পাখির নাম । নামটা মজার, তাই না? জানো, অ্যানহিংগা শব্দটি এসেছে ব্রাজিলীয় তুপি ভাষা থেকে, যার অর্থ শয়তান পাখি বা সাপ পাখি। তার মানে, ইচ্ছে করলে তোমরা অ্যানহিংগাকে সাপ পাখি বা ঝহধশব ইরৎফ বলতে পারো। ঝহধশব মানে যে সাপ, তা তো তোমরা জানোই। আসলে এ পাখির কয়েকটি নাম রয়েছে। সব ক’টি নামেই এটি পরিচিত। নামগুলো জেনে নাওÑ অ্যানহিংগা, স্নেইক বার্ড (সাপ পাখি), ডার্টার, আমেরিকান ডার্টার ও ওয়াটার তুর্কি (জলতুর্কি)।
তোমরা তো জানোই অ্যানহিংগা একটি জলচর পাখি। এটি কোথায় দেখা যায়? আমেরিকার তুলনামূলক উষ্ণ অঞ্চলে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও দেখা যায়। অ্যানহিংগা গড়ে ৮৫ সেন্টিমিটার (৩৩ ইঞ্চি) লম্বা হয়। এর পাখার গড় বিস্তার ১১৭ সেন্টিমিটার (৪৬ ইঞ্চি)। এ পাখির ওজন হয় এক দশমিক ৩৫ কিলোগ্রাম। অ্যানহিংগার গলা শরীরের তুলনায় খুবই লম্বা। সাঁতারের সময় প্রায়ই দেখা যায়, এর গলা পানির ওপরে আর শরীরটা পানির নিচে। বিভিন্ন রঙের ও প্রজাতির অ্যানহিংগা রয়েছে।
তোমরা ইতোমধ্যেই অ্যানহিংগা সম্পর্কে বেশ জেনেছ, তাই না? এর পালক যে হাঁসের মতো পানিরোধক নয়, তা কি জানো? হয়তো জানো। পালক ও ডানা ভিজে যাওয়ায় এটি ভারী হয়, তাই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এটি পানিতে ডুবে থাকতে পারে। এতে মাছ ও উভচর প্রাণী ধরতে সুবিধা হয়। তোমরা বুঝতেই পারছ, এটি অনেক সময় শরীর পানির নিচে ডুবিয়ে গলা ও ঠোঁট ভাসিয়ে সাঁতরে এগিয়ে চলে। এ সময় এর গলা ও ঠোঁট দেখতে সাপের মতোÑ এটি তোমাদের জানাই আছে। পানিতে ডুবে পালক ও ডানা ভিজে গেলে এরা তেমন উড়তে পারে না বা উড়তে কষ্ট হয়। তাই এরা পানিতে সাঁতার কাটার পর ডাঙায় বা গাছে উঠে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে পালক ও ডানা শুকায়। এরপর এটি স্বাভাবিকভাবে উড়তে পারে।