Naya Diganta

সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ : আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ : আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সাতক্ষীরায় সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আাদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে।

অপহরণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আছাফুর রহমান (৪১)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের আরিফ সরদারের ছেলে।

অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রী আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কুপ্রস্তাব দিতেন একই গ্রামের আছাফুর রহমান। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ওই ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দেন তিনি। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ৭ নভেম্বর ওই ছাত্রী তার ফুফুর বাড়ি বাঁকায় যাওয়ার সময় গ্রামের আসাদুল ইসলামের বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেলে তুলে তাকে অপহরণ করেন আছাফুর। পরে ৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীর মাস্টার আছাফুরের ডেরা থেকে ওই ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় ২১ নভেম্বর ওই ছাত্রীর বাবা আছাফুরের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রী ২৪ নভেম্বর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পুলিশ পরে ওই আসামিকে গ্রেফতার করে। এক পর্যায়ে আসামি আছাফুর রহমান আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক আবু জাফর ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আছাফুর রহমানের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের পহেলা জুলাই আসামি আছাফুরের বিরুদ্ধে অপহরণের ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। সাফাই সাক্ষী দেয়ার পর আসামি আছাফুর আর আদালতে আসেননি।

মামলার সাতজন সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি আছাফুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এম জি আযম তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।

আসামির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বসির আহম্মেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।