Naya Diganta

হজ ফরজ হয় কখন এবং প্রথমবার হজ করেছিলেন কতজন?

হজ ফরজ হয় কখন এবং প্রথমবার হজ করেছিলেন কতজন?

হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। হিজরি নবম বর্ষে সর্বপ্রথম হজ ফরজ হওয়ার বিষয়ে আল্লাহর হুকুম জারি হয়। সব যুগের সকল ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত্য। দয়ার নবী হজরত মোহাম্মদ সা: হজের প্রথম সফরে আমির নিযুক্ত করেন তাঁর প্রিয় সাহাবি হজরত আবু বকর রা:-কে।

নবম হিজরিতে যখন হজের মৌসুম আসলো, তখন আল্লাহর রাসূল সা: আবু বকর রা:-কে হজকাফেলার আমির বানিয়ে পাঠালেন। সেবারের হজ কাফেলায় মোট ৩০০ মুসলিম অংশ নেন। এর আগে মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ ছিল না।

আবু বকর রা: সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে হজের সফরে রওনা করার পর আল্লাহর রাসূল সা:-এর ওপর সূরা তাওবাহ অবতীর্ণ হয়। ওই সূরায় মুশরিকদের সাথে থাকা শান্তি চুক্তি তারা ভঙ্গ করতে পারে- আল্লাহ তায়ালা প্রিয় হাবিব সা:-কে সে ব্যাপারে সতর্ক করেন এবং নির্দেশ দেন আজকের পর থেকে মুশরিকরা হারাম শরিফের সীমানায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং কেউ যেন হারাম মাসগুলোতে যুদ্ধের আশঙ্কা না করে।

তাই রাসূল সা: হজরত আলী রা:-কে ডাকলেন এবং বললেন, সূরা তাওবায় হজ বিষয়ে যে বিধান ঘোষণা করা হয়েছে, তা মুসলিমদের জানিয়ে দাও। তখন আলী রা: মিনায় সমবেত মুসলিমদের মধ্যে মুশরিকদের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন।

আল্লাহর রাসূল সা:-এর নির্দেশে সেদিন তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে তিনি বলেছিলেন, কোনো কাফের জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আজকের পর কোনো মুশরিক হজ করতে পারবে না। বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারবে না। মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের শান্তিচুক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল ছিল যতক্ষণ তারা তা ভঙ্গ করেনি।

হজরত আলী রা: আল্লাহর রাসূল সা:-এর উটনীর ওপর আরোহন করে বের হলেন। পথিমধ্যে তার দেখা হলো হজরত আবু বকর রা:-এর সাথে। তখন আবু বকর রা: তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি আমির নাকি মামুর (আমিরের তত্ত্বাবধানে)? আলী রা: উত্তর দিলেন, আমি মামুর; আল্লাহর রাসূল আমাকে কিছু বিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন।

ফের এই দুই মহান সাহাবি সামনে অগ্রসর হলেন। হজরত আবু বকরের তত্ত্বাবধানে মুসলিমরা হজ করলেন। আর কোরবানির দিন মিনায় হজরত আলী রা: আল্লাহর রাসূল সা:-এর পক্ষ থেকে সবাইকে দিকনির্দেশা দিলেন ও নতুন বিধান সম্পর্কে জানালেন।

সূত্র : আলআরাবিয়া