Naya Diganta

বরগুনায় অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

বরগুনায় অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে গাবতলীর আবাসনে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

রোববার দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে একই এলাকার প্রভাবশালী প্রতিবেশী আকব্বর কাজীর ছেলে বারেক কাজী ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ ও মারধর করেন। গৃহবধূর মা বুঝতে পেয়ে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা লোকজন নিয়ে তালা ভেঙে বারেক কাজীকে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় পুলিশ।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা থাকায় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বিয়ের আগ থেকেই বারেক কাজী আমার মেয়েকে বিরক্ত করে আসছে। বিয়ের পরে যখন মেয়ে বাড়িতে আসে তখনো কুপ্রস্তাব দেয় বারেক। শনিবার রাতে আমি ঘর থেকে বাহিরে বের হলে সুযোগ বুঝে বারেক কাজী ঘরে প্রবেশ করে এবং আমার মেয়ের মুখ চেপে ধর্ষণ করে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে আশপাশের লোকজন ডাকলে ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা লোকজন নিয়ে এসে তালা ভেঙে আমার মেয়েকে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং বারেককে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে মেয়েকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর জন্য খেয়াঘাট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।‘

ওই গৃহবধূ বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘ আট বছর ধরে ওদের দু’জনের সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।