Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

অদ্ভুত অদল বদল

নি ত্যো প ন্যা স

নয়.
পিএ পিয়ারালী হাতে একটা নোটবুক দেখিয়ে বলল, ‘স্যার। আপনার আজ ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা।’
শারাফাত আলী চমকে উঠলেন। ‘তাই নাকি? নোটবুকে লেখা আছে?’
‘জ্বি স্যার। এই তো স্পষ্ট ‘ডাক্তারের কাছে- রাত আটটায়।’
‘এখন কত বাজে?’
‘স্যার। সাড়ে সাতটা।’
‘ঠিক আছে। আজ গদি বন্ধ করে তুমি বাসায় চলে যাও। আর আমার ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বলো।’
গাড়ি নিয়ে তিনি ডাক্তারের কাছে এলেন। এই ডাক্তার এই লাইনের নাম করা। বেশ ভিড় থাকে। দুদিন আগেই সিরিয়াল দিতে হয়।
সিরিয়ালে তার ডাক এলো। তিনি ভেতরে ঢুকলেন।
ডাক্তার বেশ রাশভারী গোছের। মোটা গোঁফ। কুস্তিগীরের মতো চেহারা। দেখলেই কেমন যেন ভয় লাগে। শারাফাত আলীর দেহ হাতির মতো হলেও কলিজা মুরগির কলিজা। সুপারির মতো ছোট্ট। তিনি ডাক্তারকে দেখে ভয় পেয়ে গেলেন।
ডাক্তার বাজখাই গলায় আদেশ করলেন, ‘বসুন।’
তিনি ডাক্তারের সামনের চেয়ারে ধপ করে বসে ভুঁড়ি এলিয়ে দিলেন।
‘বলুন, আপনার কী সমস্যা? ডাক্তারের কাছে কেন এসেছেন?’
তিনি ভয়ে ভয়ে কোনো মতে বললেন, ‘মোটা?’
‘মোটা সে তো দেখতেই পাচ্ছি। সেটা বলতে হবে না। যেটা দেখতে পাচ্ছি না সেটা বলেন।
তিনি ঢোঁক চিপে চিঁ চিঁ করে বললেন, ‘আমি মোটা হতে চাই।’
(চলবে)