Naya Diganta

রুপপুর আণবিক প্রকল্পের এক দোভাষীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

রুপপুর আণবিক প্রকল্পের এক দোভাষীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

রূপপুর আণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এক বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দোভাষী রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে ওই প্রতিষ্ঠানের চাকরি বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন।

রেজাউর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনারগো স্টেজ মমতাজ কোম্পানিতে দোভাষী হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযোগকারীরা হলেন আতাউল হক মল্লিকের ছেলে রাউফুর রায়হান, মজিবুর রহমানের ছেলে আলামিন রহমান, গোলাম রসুলের ছেলে গোলাম আজম, জামাল সরদার ছেলে কল্লোল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে শামিম, তারা সবাই ঈশ্বরদী শহর ও আশপাশের বাসিন্দা।

সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে রেজাউর রহমানের ঘুষ, কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগকারীরা জানান, ‘আমরা রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনারগো স্টেজ মমতাজ কোম্পানির দোভাষী রেজাউর রহমানের প্রতারণা ও বাটপারির শিকার হয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসেছি।’

রায়হান ও আল আমিন জানান, মমতাজ কোম্পানিতে শ্রমিকদের সময় নিয়ন্ত্রণের চাকরি করতাম। এ সময় দোভাষী রেজাউর রহমান আমাদেরকে বলেন, ‘তোমাদের দু’জনের চাকুরি করতে হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।’ চাকরির স্বার্থে কষ্ট করে গত এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ ও ১০ তারিখ রেজাউর রহমানের নতুন হাটের গোল চত্বরের বাসায় গিয়ে প্রথমে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও পরে ২০ হাজার, মোট এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি, যার প্রমাণ আছে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার টাকা দেয়ার পরেও গত ১৭ এপ্রিল দোভাষী রিয়াজুর রহমান রাশিয়ার বসকে দিয়ে আমাদের দু’জনকে চাকরির পদত্যাগপত্রে চাপ দিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়ে বিদায় করে দিয়েছে। চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

গোলাম আজম ইমরান বলেন, তাকে রেজাউর রহমান গত ১৪ এপ্রিল চাকরিচ্যুত করে বলেন, ‘অনেক কামিয়েছিস; এক লাখ টাকা দিবি তাহলে চাকরি ফিরিয়ে দেবো, তা না হলে টাকা নিয়ে অন্যদের চাকরি দিয়ে দেবো।’

কল্লোল বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধু শামিমের কাছ থেকে রিয়াজুর রহমান গত ৬ এপ্রিল রাতে ৭০ হাজার করে দু’জনের থেকে একলাখ ৪০ হাজার টাকা নেয় চাকরি দেবে বলে কিন্তু আজো চাকরি দেয়নি।’

এ ব্যাপারে দোভাষী রিয়াজুর রহমানের কাছে মোবাইলফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ঘুষের টাকা নিইনি। রাউফুর রায়হানের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছি সেটা অন্য পাওনা টাকা ছিল।’