Naya Diganta

নাজিরপুরে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে দুঃচিন্তায় খামারি

নাজিরপুরে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে দুঃচিন্তায় খামারি।

পিরোজপুরের নাজিরপুরে একাধিক ইউনিয়নে গত এক মাস ধরে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে গরু আক্রান্ত হওয়ায় দুঃচিন্তায় পড়েছে খামারিরা। রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় খামারিরা অনেকেই কোরবানির বাজারে তাদের গরু বিক্রয় করতে পারবেন না। একদিকে গরুর চিকিৎসায় ব্যয়, অন্যদিকে কোরবানির হাটে গরু বিক্রি করতে না পাড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে খামারিরা।

শনিবার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭৪ হাজার ১২৫টি গরু রয়েছে।

জানা গেছে, নাজিরপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় দ্রুত এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ভয়াবহ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গরু মারাও গেছে।

নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের আপেল মাহমুদের খামারে এবং শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে নাসির মল্লিকের খামারে এ রোগ দেখা দিয়েছে।

দক্ষিন জয়পুর গ্রামের কৃষক বিবেক সিকদার জানান, তার একটি গাভী ও একটি বকনা বাছুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত গরু নিয়ে তিনি চরম দুঃচিন্তায় রয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার একই গ্রামের সোহেল শেখের একটি গাভী, শেখমাটিয়া ইউনিয়নে রামনগর গ্রামের শাহাবুদ্দীন সরদারের একটি গাভী লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই গড়ে তিন থেকে পাঁচটি আক্রান্ত গরু চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছেন কৃষকরা। মশা ও মাছির মাধ্যমে ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ আক্রান্ত হয়ে শরীর প্রথমে ফুলে গুটি-গুটি হয়। কয়েক দিন পর গুটিগুলো ফেটে রস ঝরতে থাকে। ফলে ফেটে যাওয়া স্থানেই ক্ষত সৃষ্টি হয়ে গরুর শরীরে প্রচণ্ড জ্বর হয় এবং গরুর খাওয়ার রুচি কমে যায়। এ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর মৃত্যুহার কম হলেও এর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এ রোগে লক্ষণ দেখে পেনিসিলিন, এন্টি হিস্টামিন, আইভার মেকটিন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।