Naya Diganta

সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জুনু আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এ হত্যাকান্ডটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে নিহত গৃহবধূর স্বামী।

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে জুনু আক্তারের সাথে চার বছর আগে পাশের সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামের দাইয়ানের ছেলে কবির হোসেনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী কবির হোসেন বিভিন্ন সময়ে জুনু আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য মারধর করতেন। এনিয়ে গত শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জুনু আক্তারকে স্বামী কবির হোসেন, শ্বশুর দাইয়ান ও শাশুড়ি শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। পরে সকলেই রাতের আঁধার পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে আশপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করে নিহতের শ্বশুর বাড়ির পরিবার।

ওই গৃহবধূর বড় ভাই সোলায়মান মিয়া জানান, শনিবার ভোরে একটি অচেনা মোবাইল নাম্বার থেকে আমার বোনের মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হয়। যৌতুকের জন্য আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করা হতো। আমি আমার বোনের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

তিনি আরো জানান, নিহতের শরীরে-গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় নির্যাতন করে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আত্মহত্যার কোনো আলামত পাইনি। লাশ স্বাভাবিকভাবে মাটিতে পড়ে ছিল। লাশের গলায় ও শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো: জাকির হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।