Naya Diganta

কোহলির ব্যর্থতার দিনেই জ্বলে উঠলেন পন্থ-জাদেজা

কোহলির ব্যর্থতার দিনেই জ্বলে উঠলেন পন্থ-জাদেজা

ভারত : ৩৩৮/৭ (পন্থ ১৪৬, জাদেজা ৮৩*)
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে কী করবেন জশপ্রীত বুমরাহ? ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টনের ২২ গজে বল গড়ানোর আগে এর চেয়েও বড় একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। বিরাট কোহলি কি রানে ফিরবেন? উত্তরটা পাওয়া গেল। কিন্তু সে উত্তর আরো একবার হতাশই করল ক্রিকেট বিশ্বকে। নাহ্, এবারও পারলেন না তিনি। এবারো সেই কোহলিকে খুঁজে পাওয়া গেল না, যিনি স্ট্রাইকে থাকলে প্রতিপক্ষ বোলারের কপালে জমে যেত বিন্দু বিন্দু ঘাম। কোথায় সেই আগ্রাসন, কোথায় সেই রানের খিদে! সবই যেন অতীতের মতো ফিকে। তবে কোহলির দেয়া এই ক্ষতে শুক্রবার মলম লাগানোর কাজটি করলেন ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

ঘরের মাটিতে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পন্থ। যেখানে প্রথম দুই ম্যাচেই হারে ভারত। সতীর্থদের সৌজন্যে সিরিজে সমতা ফেরায় মানরক্ষা হলেও পন্থের ব্যাটে রান আসেনি। তার ব্যাটিং থেকে অধিনায়কত্ব, সবকিছুই পড়েছিল তীব্র সমালোচনার মুখে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিন ১৪৬ রানের ক্লাসিক ইনিংস খেলে পন্থ যেন বার্তা দিলেন, এখনো তার প্রতি ভরসা রাখতেই পারে দল। গত বছর টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসনের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ মেরে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছিলেন পন্থ। যা অবাক করেছিল দর্শকদের। এদিন নিজের চেনা ছন্দে ফিরে সেই স্মৃতিই উসকে দিলেন ফের। যে জিমি একের পর এক উইকেট নিয়ে ভারতীয় টপ অর্ডারকে এদিন রীতিমতো চাপে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই কিনা ফের রিভার্স সুইপ! বল এবার বাউন্ডারি অবধি না পৌঁছলেও নিজের নির্ভীক ব্যাটিংয়ের কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন পন্থ। কখনও স্ট্রেট ড্রাইভ তো কখনো একহাতে পুল হাঁকিয়ে দলকে খেলায় ফেরালেন টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক। পুরস্কার হিসেবে ড্রেসিংরুমে ঢোকার সময় পেলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের হাততালি।

তবে শুধু ঋষভের কথা বললেই চলবে না। একইরকম গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করতে হবে জাদেজার নামও। পন্থের সাথে যিনি ২২২ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়লেন। সেই সঙ্গে পন্থ আউট হওয়ার পর একা হাতেই সামলে দিলেন বাকি দিনের খেলা। দিনের শেষে ৮৩ রানে অপরাজিত তিনি। ক্রিজে রইলেন মোহম্মদ শামিও।

পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিন চোট সারিয়ে দলে ফিরেই নিজের বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। দুই ওপেনার শুভমান গিল (১৭) ও চেতেশ্বর পূজারাকে (১৩) দ্রুত ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন তিনি। এরপরই হনুমা বিহারী (২০) ও কোহলির (১১) মূল্যবান উইকেট তুলে নেন ম্যাটি পটস। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় পন্থের হাত ধরেই। পাঁচ উইকেটে ৯৮ রান থেকে দিনের শেষে সাত উইকেটে প্রায় সাড়ে তিন শ'র দোরগোড়ায় রোহিতহীন ভারত।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন