Naya Diganta

হামলার ভয়ে বড়থলির ২৩টি পরিবার বান্দরবানে আশ্রয় নিয়েছে

সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পাড়ার ২৩টিরও বেশি পরিবার এখন অতঙ্কে পার্শ^বর্তী বান্দরবান জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারগুলো বড়থলিসংলগ্ন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় চলে আসে। পরে তারা বান্দরবান সদর রোয়াংছড়ি ও রাঙ্গামাটির রাজস্থলি এলাকায় বিভিন্ন পাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে। বড়থলির ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা ও বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন কুকি চিন ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন পাড়ায় গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি দেয়ার পর পরিবারগুলো আতঙ্কে পার্শ^বর্তী বান্দরবানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। প্রসঙ্গত গত ২১ জুন একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাইজাম পাড়ায় হামলা চালালে সেখান তিনজন নিহত হয়। আহত হয় দুই শিশু। ওই হামলায় কুকি চীন ফ্রন্ট সংগঠনটি অংশ নিয়েছিল বলে স্থানীয় পাড়া বাসীর অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনার পর থেকেই সেখানে পাড়ার লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক উৎকণ্ঠ দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় জানান, রোয়াংছড়ির বরতলিতে দুই পরিবার, শঙ্খমনিতে ছয় পরিবার, ফরেস্ট কলোনিতে তিন পরিবার, রেপোপাড়াতে দুই পরিবার, শামুখ ঝিড়ি পাড়ায় দুই পরিবার, রেইছা সিনিয়র পাড়ার এক পরিবারসহ বিভিন্ন এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
বড়থলির বিলছড়ি পাড়া থেকে পালিয়ে আসা ফুল মালা তঞ্চঙ্গ্যা জানান কুকি চীন ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যরা তাদের পাড়াতে এসে কয়েক দিন আগে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায়। পরে তারা তঞ্চঙ্গ্যাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। পরে আতঙ্কে তারা বান্দরবান এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান। এ দিকে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন কিছু পরিবার রোয়াংছড়িতে চলে আসার কথা শুনেছি তবে তারা কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।