Naya Diganta

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে অনৈতিক দেহব্যবসাসহ অবৈধ কারবার জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রভাবশালীরা অবৈধ পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। দেহব্যবসার সাথে একজন পুলিশ সদস্যও জড়িত বলে উল্লেখ করে তার বিচারের দাবিতে গতকাল জুমার নামাজের পর এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের ১১ জেলার প্রবেশদ্বার বগুড়া শহরের চারমাথা, তিনমাথা, মাটিডালী মোড়সহ শহরের অভ্যন্তরে অসংখ্য আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে অতিথিদের ভালোমানের আবাসন ব্যবস্থাও রয়েছে। এসব হোটেলের বাইরের পরিবেশ ভালো মনে হলেও অভ্যন্তরে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানার অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা, মাদকের কারবার, চোরাচালানি কারবার ও জুয়ার আসর বসে। কিন্তু পুলিশ এসব বন্ধে তেমন উদ্যোগ নেয়নি। তবে গত সপ্তাহে দীর্ঘদিন পরে শহরের কয়েকটি হোটেলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৩৮জন নারী ও পুরুষকে দেহব্যবসার অভিযোগে আটক করে।
এ দিকে শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উত্তরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কয়েকটি আবাসিক হোটেলসহ চার মাথা আবাসিক হোটেল বন্ধ ও কথিত পুলিশ সদস্য ইমরানের শাস্তির দাবিতে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা অবিলম্বে অবৈধ দেহব্যবসা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত একজন পুলিশ সদস্য কিভাবে এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে। বক্তারা জানান, প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ যৌন ব্যবসা এখানে চলে আসছে। আর কোনো অবৈধ ব্যবসা এখানে করতে দেয়া হবে না। বগুড়া পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিন আল মেহেদীর নেতৃত্বে এলাকার শত শত মানুষ চারমাথা হোটেল বন্ধ ও বিচার দাবি করেন।