Naya Diganta

কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, অর্ধশতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে হাহাকার

কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, অর্ধশতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে হাহাকার।

১৭ দিনেও কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির কোনো চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। পৌর এলাকায় মানুষজন বাসায় হাটু পানির সাথে যুদ্ধ করছেন। কারো ডিবটিবওয়েলে পানি উঠছে না, কারো টয়লেট ওভারফ্লু হয়েছে। এছাড়াও ঘরের ভেতর পোকা মাকড়, মশা-মাছি, ব্যাঙ ও সাপ ঢুকে পড়ছে।

আতঙ্কে সময় পার করছেন কুলাউড়া পৌর এলাকার মাগুরা, বাদে মনসুর, টিটিডিসি এরিয়া, হাসপাতাল এলাকা, আহমদাবাদ, মহিলা কলেজ এলাকা, বিহালা, সোনাপুর, কুলাউড়া গ্রাম এলাকার মানুষজন।

শহরের উপজেলা রোডে এখনো কোমর পানি। এতে উপজেলা কমপ্লেক্সে যাওয়া- আসায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। শহরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর অবস্থা আরো শোচনীয়। রান্না-বান্না করার সুযোগ নেই। কেউ এক বেলা খাবার পেলে আরেক বেলা উপোস থাকছেন।

বৃহস্পতিবার উপজেলা কমপ্লেক্সের রাবেয়া স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে রিনা বেগম (৬০) নামে এক মহিলা দু’দিন থেকে পরিবার নিয়ে উপোস আছেন জানিয়ে খাবারের জন্য আকুতি জানান। উপজেলার অর্ধশতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রেই হাহাকার বিরাজ করছে।

তবে কুলাউড়ার রাজনীতিবিদ, পুলিশ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছেন দুর্গতদের পাশে।

দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী সাবেক এমপি এম এম শাহীন, কুলাউড়ার সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খাঁন, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ (পিপিএম), মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম শফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।