Naya Diganta

গাজার রেডক্রসকে ফিলিস্তিনিদের ১০০ মিটার লম্বা চিঠি কিন্তু কেন?

১০০ মিটার লম্বা সেই চিঠি।

ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থাকা ফিলিস্তিনিদের সন্তানরা গাজা শহরের রেডক্রস অফিসারের কাছে ১০০ মিটার দীর্ঘ একটি চিঠি হস্তান্তর করেছে।

বুধবার আনাদোলু এজেন্সি জানায়, বন্দীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সীমা লঙ্ঘনের প্রতিবাদ এবং তাদের পরিবারের দুঃখকষ্ট তুলে ধরার প্রয়াসে অভিনব এ কর্মসূচি পালন করে তারা।


কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জানায়, বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে চার হাজার ৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছে। তাদের অনেকের সাথে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। অনেককে আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্জন কারাগারে রেখে দেয়া হয়। এসব অত্যাচারের প্রতিবাদস্বরূপ বর্তমানে ছয়জন ফিলিস্তিনি বন্দী অনশন পালন করছেন।

ইসরায়েলি কারাগারে আটকদের স্বজনরা জানান, বন্দীদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে প্রশাসনিক উপায়ে আটকে রাখা হয়েছে। এ ধারায় কোনো চার্জ বা বিচার ছাড়াই যে কাউকে ছয় মাসের নবায়নযোগ্য সময়ের জন্য আটক করে রাখা যায়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগ, ইসরায়েলের প্রশাসনিক আটক নীতিটি একটি নিষ্ঠুর, অন্যায্য চর্চা, যা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্ণবাদী ও বৈষম্য ব্যবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

১০০ মিটার লম্বা চিঠিটি গাজার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের আইসিআরসির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আইসিআরসি ১৯৬৮ সাল থেকে ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের পরিবার পরিদর্শনের সুবিধা দিচ্ছে।

চিঠিটি পাওয়ার পর গাজার আইসিআরসি অফিসের উপ-প্রধান নিকোলাস জেরার্ড বলেন, শিশুরা যখন তাদের প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তখন তাদের যে কষ্ট ও বেদনা হয়, তা অনুভব করা আমার সাধ্যের বাইরে।

তিনি জানান, করোনা মহামারীর কারণে দুই বছরের জন্য ইসরায়েলি কারাগারে স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ স্থগিত করা হয়েছিল। তবে গত মার্চ থেকে আবার শুরু হয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, ডেইল জং ও অন্যান্য