Naya Diganta

পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ, দলত্যাগীরা বাদ

পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ, দলত্যাগীরা বাদ

পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। সেইসাথে ইমরান খানের পিটিআইয়ের দলছুট ২৫ জনের ভোট হিসাবের মধ্যে না রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে হামজা শরিফের টিকে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের জন্যও একটি বিপদসঙ্কেত হতে পারে।

বিচারপতি সাদাকাত আলী খানের নেতৃত্বে লাহোর হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার ৪-১-এ এই রায় দেয়া হয়।

এই রায়ের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে জিও নিউজের অ্যাঙ্কর ও আইন বিশেষজ্ঞ মুনিব ফারুক বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩০(৪) অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী প্রাদেশিক পরিষদের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটাভুটি হবে।

লাহোর হাইকোর্ট ১ জুলাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ওই অধিবেশনে স্পিকার চৌধুরী পারভেজ এলাহি সভাপতিত্ব করতে পারবেন না। কারণ তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী।

এদিকে রায়ের পর ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন তেনা আতাউল্লাহ তারার বলেন, তারা আদালতের ইস্যু করা সকল রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তিনি বলেন, আদালত আগের নির্বাচনগুলো যেমন বাতিল করেননি, তেমনি নতুন নির্বাচনের আদেশও জারি করেননি। তবে আদালত আগেরবার যে পিটিআইয়ের দলচ্যুত ২৫ জনের ভোট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর হামজা শাহবাদ নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন।

তিনি বলেন, প্রাদেশিক পরিষদে পিএমএল-এনের ১৭৭ জনের সমর্থন রয়েছে। আর ইমরান খানের পিটিআইয়ের রয়েছে ১৬৮ ভোট।
তিনি বলেন, পরিষদে আমরা ৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছি।

হামজা আর মুখ্যমন্ত্রী নন
তবে পিটিআই নেতা মেহমুদ-উর-রাশিদ জিও নিউজকে বলেন, লাহোর হাইকোর্ট তাদের দায়ের করা তিনটি পিটিশনের সবগুলোই গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, হামজা আর মুখ্যমন্ত্রী নন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে আবার নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে পিটিআই জয়ী হবে।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোটে ১৭৭ এমপিএর সমর্থন রয়েছে। এর মধ্যে পিএমএল-এনের আছে ১৬০ জন, স্বতন্ত্র চারজন, রাহ-ই-হক পার্টির একজন এবং পিপিপির সাতজন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের আছে ১৫৮ জন এমপিএ। এছাড়া তাদের ২৫ এমপিএ দলত্যাগ করায় আসন হারিয়েছেন। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের যোগ হবে। এছাড়া পিএমএল-কিউয়ের ১০ এমপিএর সমর্থনও তারা পাবে। ফলে তাদের সমর্থন দাঁড়াবে ১৭৩-এ। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান থাকবে চার ভোটের। হামজা জয়ী হলে এই মাত্র চার ভোটেই জয়ী হতে পারেন।

সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল