Naya Diganta

দুই দিন থেকে চুলায় আগুন জ্বলেনি পঞ্চগড়ের পানিবন্দি পরিবারগুলোর

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে খাদ্যসংকটে আছেন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পঞ্চগড় সদরের একটি গুচ্ছগ্রামের ৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চলাফেরার সমস্যাসহ খাদ্যসংকটে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের সাবেক গাড়াতি ছিটমহলের গুচ্ছগ্রামে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুচ্ছগ্রামটি নিচু জমিতে হওয়ায় এবং দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

কথা হয় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, দুইদিন থেকে তাদের চুলায় আগুন জ্বলেনি। ফলে না খেয়েই দিন পার করতে হচ্ছে তার চার সদস্যের পরিবারের। পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

একই কথা বলেন, এনায়েত উল্লাহ ও আব্দুল খালেক। তারা জানান, গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে প্রতি বছরই বর্ষাকালে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। পুরো গুচ্ছগ্রামটি নিচু জমিতে হওয়ায় তাদের চলাচলের রাস্তার ওপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যায়। স্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছে সড়কে দেয়া বালুমাটি।

আমিনুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কাছে গিয়েও আমরা কোনো সহযোগিতা পাই না।

তারা বলেন, সরকার আমাদের ভালোর জন্য এখানে আশ্রয় দিয়েছেন, আমরা ভালোভাবেই এখানে থাকতে চাই। আমাদের এই সমস্যাটা দ্রুত সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানাই।

পঞ্চালয় গুচ্ছগ্রামের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের পর সরকার এই গুচ্ছগ্রামটি করে দেয়। গত চার বছর ধরে ৫০টি পরিবার এখানে বসবাস করছে। সারা বছর গুচ্ছগ্রামটি স্বাভাবিক থাকলেও বর্ষা মৌসুমে এখানকার বাসিন্দাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিত কালভার্ট এবং সড়কে মাটি ভরাট করে উঁচু করা গেলে এই সংকট কেটে যেত।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোর সার্বিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সমস্যা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে।