Naya Diganta

ইসরাইলি পতাকা মিছিলের আগে উগ্র ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশ, পূর্ব জেরুসালেমে তীব্র উত্তেজনা

ইসরাইলি পতাকা মিছিলের আগে উগ্র ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশ, পূর্ব জেরুসালেমে তীব্র উত্তেজনা

উস্কানিমূলক পতাকা মিছিলের আগে শত শত উগ্র জাতীয়তাবাদী ইহুদি রোববচার জেরুসালেমের আল-আকাস মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করলে তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলিদের পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে পূর্ব জেরুসালেমের কয়েকটি স্থানে হামলাও হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে সঙ্ঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পবিত্র আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইহুদিদের প্রবেশের প্রতিবাদ করলে ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পূর্ব জেরুসালেমের আরো কয়েকটি এলাকায় ইসরাইলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

এদিকে দামাস্কাস গেটের পরিস্থিতি শান্ত হতেই শেখ জাররাহ মহল্লায় ফিলিস্তিনি বাড়িগুলোর ওপর হামলা চালানো হয়। ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা এসব হামলা চালায় বলে আলজাজিরার ইমরান খান ঘটনাস্থল থেকে জানান।

ইমরান খান বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দামাস্কাস গেটে উগ্র ইহুদি গ্রুপগুলোকে প্রবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয়। তিনি বলেন, এর পেছনে রয়েছে রাজনীতি।
তিনি বলেন, উগ্র জাতীয়তাবাদী অনেক গ্রুপ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেতকে সমর্থন করে। আর তিনি তাদের সমর্থনের বিনিময়ে তার ভঙ্গুর জোটকে টিকিয়ে রেখেছেন।

মগজধোলাই করা ইসরাইলের তরুণ প্রজন্ম
এদিকে আলজাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের অবস্থা 'ইসরাইলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের' কথা বলছে। তিনি বলেন, এই প্রজন্ম শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, এই প্রজন্মের মগজধোলা্ই করা। তাদেরকে ফিলিস্তিনি ও আরবদের ঘৃণা করতে শেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা তাদের শিক্ষায় প্রায় খুনি। তারা ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব মানে না। তারা ফিলিস্তিনিদের বের করে দিতে চায়। তারা বিশ্বাস করে, পুরো ফিলিস্তিন তাদের।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পূর্ব জেরুসালেম দখল করার পর থেকে উগ্র ইহুদি গ্রুপগুলো প্রতিবছর ওল্ড সিটির মুসলিম কোয়ার্টারের সংকীর্ণ রাস্তাগুলো দিয়ে ইসরাইলি পতাকা মিছিল করে, গান গায়। তারা এর মাধ্যমে পূর্ব জেরুসালেম দখলকে উদযাপন করে।
আর ফিলিস্তিনিরা একে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের উস্কানি হিসেবে দেখে। তারা এ সময় তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ঘরে অবস্থান করতে থাকে।
সূত্র : আলজাজিরা