Naya Diganta
বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

প্রথম উপন্যাসেই আলোচিত

বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

নেদারল্যান্ডসের লেখিকা লাইকি মার্সম্যান ২০১৯ সালে তার কবিতার সঙ্কলন ‘দ্য ফলোয়িং স্ক্যান উইল লাস্ট ফাইভ মিনিটস’ এর মাধ্যমে নিজেকে একজন ব্যতিক্রমী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সে বছরই ডাচ ভাষায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য অপজিট অফ এ পারসন’। আর সেটির ইংরেজি অনুবাদ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে লন্ডন থেকে। এই বইটি সেই কবিতার সঙ্কলনের ধারাবাহিকতা এটি একটি অর্থে সবচেয়ে আধুনিক বইয়ের মতো মনে হয় : কেবল দৃশ্যমান বিষয়ই নয় (যেমন জলবায়ু পরিবর্তন), এটি বর্তমান সাহিত্যিক প্রবণতাকেও ধারণ করেছে। আমরা নন-ফিকশন-বই বলতে প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা এবং রিপোর্টেজ মিশ্রিত বইকে বুঝাই কিন্তু মার্সম্যান তার উপন্যাসে এমন একটি শৈলী এনেছেন, যা কথা সাহিত্য, প্রবন্ধ এবং কবিতার মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছে। এটি সেই সাথে পড়ে যাকে আমরা ‘মহাকাশ সাহিত্য’ বলতে পারি সেই ধারায়। ছোট ছোট অনুচ্ছেদে গঠিত এটি একটি নতুন ধরনের আখ্যান বলে সমালোচকদের অভিমত। লেখিকা তার মায়ের জীবন কাহিনী কার্যত এখানে আনতে চেয়েছেন যিনি শৈশবে ‘একজন ব্যক্তির বিপরীত’ হতে চেয়েছিলেন। উপন্যাসের কথক আইডা একজন জলবায়ু বা আবহাওয়াবিদ, তার সম্পর্ক ছিল আরেক নারী রবিনের সাথে। আইডাকে ইতালীয় আল্পসে একটি ইন্টার্নশিপ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে তিনি জলবায়ুর ওপর মানুষের প্রভাব এবং একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা সম্পর্কে আরো শেখার সুযোগ পান। আইডা এই পরিকল্পনার বিপরীতে নিজেকে দাঁড় করান। আইডার জীবনে পরে আরো কিছু নাটকীয় পরিবর্তন আসে, তার বিস্তারিত বর্ণনায় লেখিকা যাননি। তিনি প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের উপর এই বইতে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। বইটি অনুবাদ করেছেন সোফি কলিন্স আর প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ডাউন্ট। উপন্যাসটি ইসিআই সাহিত্য পুরস্কারের লংলিস্টে স্থান পেয়েছে। লাইকির জন্ম ১৯৯০ সালে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বের হয় ও একাধিক পুরস্কার পান। সমসাময়িক ডাচ কবি লেখকদের মধ্যে ‘গ্রেটেস্টে নিউ ভয়েস’ মনে করা হয় তাকে। তিনি বর্তমান ‘পোয়েট লরেট অফ দি নেদারল্যান্ডস’।