Naya Diganta

মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার

মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি ফয়সাল নাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। গতকাল বুধবার উপ-রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ সাক্ষাৎকার বৈঠকটি হয়। উপ-রাষ্ট্রপতি ফায়সাল নাসিম মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং তার নিয়োগের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান। উপ-রাষ্ট্রপতি কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকার বৈঠকে মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ প্রায় অভিন্ন সংস্কৃতির দেশ। সুদূর অতীত থেকে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় আছে। মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীরা বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
উপ-রাষ্ট্রপতি ও হাইকমিশনার সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফরের সময় স্বাক্ষরিত সহযোগিতার নতুন চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরো জোরদার করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন। বৈঠকে আলোচনার অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকাদান, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষা এবং অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ ছাড়া তিনি উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটন সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন, মালদ্বীপে অভিবাসী শ্রমিকদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশি কর্মী বলে উল্লেখ করে হাইকমিশনার উপ-রাষ্ট্রপতির সাথে তাদের সমস্যা শেয়ার করেন এবং অসুবিধাগুলো দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। মহামারী চলাকালীন মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকদের দেয়া সহায়তার জন্য এবং বৈষম্য ছাড়াই সবাইকে টিকা প্রদানের সুযোগ সহজ করায় মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানান হাইকমিশনার। তিনি অনথিভুক্ত প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের দ্রুত বৈধ করন এবং শ্রমবাজার উন্মুক্ত করনের জন্যও অনুরোধ জানান। তিনি উভয় দেশের মধ্যকার সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ আব্দুল গফুর মোহাম্মদ এবং মিশনের প্রথম সচিব মো: সোহেল পারভেজ ও তৃতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।