Naya Diganta

দেশে দেশে খাদ্যপণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞায় বাড়ছে উদ্বেগ

নানা কারণে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট, রকেট গতিতে বাড়ছে দাম। এ দিকে অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখার অজুহাতে নানা দেশ নিজেদের পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, যা চলমান খাদ্য সঙ্কট পরিস্থিতিকে আরো গভীর অন্ধকারের দিকে ঠেকে দিচ্ছে। মালয়েশিয়া গত সোমবার তাদের মুরগি রফতানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী জুন মাস থেকে যা কার্যকর হবে। এর আগে ভারত তাদের গম রফতানিতে এবং ইন্দোনেশিয়া পামঅয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এখন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে সব ধরনের পণ্য রফতানি বন্ধ আছে। অন্য দিকে ইউক্রেনে রুশ সামসরিক অভিযানের জেরে পশ্চিমা বিশ্ব কঠোর থেকে কঠোরতর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে। ফলে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য রফতানিও প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। এর প্রভাব পড়েছে পুরো বিশ্বজুড়ে। ভোজ্যতেল নিয়ে কাড়াকাড়ির মাধ্যমে যে সঙ্কটের নগ্ন চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে এসেছিল তা এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের বেলাতেই প্রকট হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধের জের বিশ্বজুড়ে যে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা অতীতের কয়েক দশকের মধ্যে দেখা যায়নি। অবস্থা যখন এতটাই সঙ্কটময় তখন নানা দেশ অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখতে যেভাবে খাদ্যপণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তা ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেন কৃষি বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ। যেটিকে বলা হচ্ছে ‘খাদ্য জাতীয়তাবাদ’।
এ মাসের শুরুতে ভারত গম রফতানি নিষিদ্ধ করলে বিশ্ববাজারে গমের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়া তিন সপ্তাহ আগে তাদের পামঅয়েল রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বিশ্ববাজারে এই ভোজ্য তেলের দাম অনেক বেড়ে যায়। খাদ্যপণ্য থেকে কসমেটিস কোথায় নেই পামঅয়েলের ব্যবহার।