Naya Diganta

দারুণ জয় বসুন্ধরা কিংসের

গোলদাতা রবিনহোর পেছনে অপর ব্রাজিলিয়ান ফিগেইরো

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যা করতে হয় ঠিক সেই কাজই করেছে বসুন্ধরা কিংস। এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে গতকাল শুধু জিতলেই হবে না বাংলাদেশী ক্লাবটির। সাথে রাতে মোহনবাগান ও মাজিয়ার ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের যে কাজ সেই জয়ই তুলে নিয়েছে বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের গোকুলাম কেরালাকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে নিজেদের শেষ আশা। পরের ম্যাচে মোহনবাগানের বিপক্ষে মাজিয়া জিতলে বা ড্র করলেই ইন্টার জোন সেমিফাইনালে যাবে অস্কার ব্রুজনের দল। কিন্তু মোহনবাগানের জয় সব আশার সমাপ্তি ঘটাবে। কারণ দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও বসুন্ধরা ০-৪ গোলে মোহনবাগানের কাছে হারের ফলে হেড টু হেডে এগিয়ে কোলকাতার ক্লাবটি।
গতকাল কোলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে অধিনায়ক রবসন রবিনহো এবং গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার নূহা মারংয়ের গোলে তাদের এই জয়। এই সাফল্যের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের দুই লিগ চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে শেষ হাসি লাল-সবুজদের ক্লাবটির। ইনজুরির জন্য গত ম্যাচ মিস করা নূহা মারংকে এ ম্যাচে মাঠে নামান কোচ অস্কার ব্রুজন। ১২ মিনিটে তার হেড অল্পের জন্য বার উঁচিয়ে গেলেও ৫৪ মিনিটে তার চমৎকার হেডের গোলে ২-০তে এগিয়ে যাওয়া ঢাকা থেকে যাওয়া দলটির। এর আগে ৩৬ মিনিটে বসুন্ধরা কিংস এগিয়ে যায় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রবসন রবিনহোর ট্রেড মার্ক বক্সের কোনা থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে। বিপিএলে এমন গোল তার আরো আছে। সোহেল রানার পাস থেকে কালকের এই গোল। ৪০ মিনিটে আরেকটি শট ব্যর্থ হয়।
এরপর ৫৪ মিনিটে বাংলাদেশী ক্লাবটি ব্যবধান বাড়ায় এই রবিনহোর ক্রস থেকে। তার ক্রসে দীর্ঘদেহীকে কাজে লাগিয়ে লাফিয়ে ড্রপ হেডে বল জালে পাঠান নূহা মারং। প্রথম ম্যাচে মাজিয়ার ও বিপক্ষেও হেডে গোল ছিল তার। ২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার বসুন্ধার এরপর গোল সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় ৭৫ মিনিটে ফ্লেচারের মাটি ঘেঁষা শটে জিকো পরাস্ত হলে চাপে পড়ে যায় বসুন্ধরা। ৯০ মিনিটে এই ফ্লেচারের ফ্রি-কিক ক্রসবারে প্রতিহত হলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় রবিনহোর দল। ইনজুরি টাইমে রবিনহো ও ইব্রাহিমের দুটি শট জালে না গেলে ২-১ এ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। আর প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানকে ৪-২ গোলে হারা গোকুলাম কেরালা টানা দুই হারে বিদায় নিলো আসর থেকে।