Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়ারূপ

নি ত্যো প ন্যা স

ছেচল্লিশ.

একটু খুঁজে পেতেই জায়গাটা পাওয়া গেল, সবুর খুঁড়ে মাটি তুললেও আর জায়গাটা পূরণ করেনি, এখনো খোঁড়াই আছে। সবুর তোলা মাটির পাশে হ্যারিকেনটা রেখে শাবল দিয়ে বেশ অনেকখানি জায়গাজুড়ে গর্ত খুঁড়তে লাগল। আব্বা আর জিনসাধক মনোযোগ দিয়ে সেই গর্ত খোঁড়া দেখতে লাগলেন। আমি আব্বার হাত থেকে তিন ব্যাটারির টর্চলাইটটা নিয়ে নিলাম। আব্বা কিছু বলল না। এবার টর্চটা নিয়ে এলোমেলো বাঁশবাগানের গাঢ় অন্ধকারের দিকে আলো ফেলতে লাগলাম। আমার একটা সুপ্ত উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে।
সেই উদ্দেশ্যের দিকে টর্চের আলো ফেলতেই আমি হতভম্ব।
পোড়া কংকালের সেই কবরটা কেউ খুঁড়ে ফেলেছে!

আমি টর্চের আলো কবরটার উপরে ধরে রেখেই ভয়ার্ত গলায় ডাকলাম ‘আব্বা! আব্বা!’
আমার ডাকে আব্বা আমার দিকে ফিরলেন। তারপর টর্চের আলোয় শেষ মাথায় তাকিয়ে নিজেও একটু অবাক হলেন। অবাক গলায় স্বগোক্তির মতো বললেন, ‘ওটা আবার খুঁড়ে রেখেছে কে?’
আব্বার কথায় ফিরে তাকাল জিনসাধক, চ্যালা, এমনকি সবুরও হাতের কাজ থামিয়ে উপরের দিকে তাকাল। জিনসাধক ব্যাপারটা জানেন না বলেই আব্বা ইতস্তত করে বললেন, ‘পুকুরের পাড় খুঁড়তে গিয়ে মানুষের হাড়গোড় পাওয়া গিয়েছিল। পোড়া হাড়গোড়। ওগুলো ওখানে কবর দিয়েছিলাম। কবরটা খসে পড়েছে মনে হয়!’ (চলবে)