Naya Diganta

লাঠি হাতে ছাত্রদল সম্পাদক, যা বলছেন নেতাকর্মীরা

মিছিলরত নেতাকর্মীরা

ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এ কথা বলেছেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের রক্ষা করতেই ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল লাঠি হাতে পিকেটিং করেছেন।

তিনি মনে করেন, দলের সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের লাঠি হাতে যে ছবি প্রকাশ হয়েছে সেটা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের রক্ষার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রদল যদি পাল্টা ধাওয়া না দিতেন তাহলে আমাদের অনেক নেতাকর্মীর প্রাণ যেতো। তাই আমরা মনে করি আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার ভূমিকা সঠিক ছিল।

এ সময় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মো: ইয়াহিয়া, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এজাজুল কবির রুয়েল, সজীব মজুমদার, শরীফুল ইসলাম শরীফ, জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, আহ্বায়ক সদস্য মানসুরা আলমসহ ৩৪ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় ছাত্রদল। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতা কর্মীর ওপর হামলা চালালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগসহ ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রড, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হয় মহড়া দিতে দেখা যায়।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আমরা প্রতিদিনের ন্যায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে গুরুতর আহত করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালে নিতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে আমাদের ছাত্রদলের আহত নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানেও লাঠিসোটা হাতে যায় ছাত্রলীগের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। আমরা আজকের এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।