Naya Diganta

অবশেষে ইবাদতের হাত ধরে উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ

ইবাদত হোসেন।

শুরুর সময়ে ওয়ানডে স্টাইলে রান করছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম বল করতে আসেন দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না। পরে স্পিনাররাও এসে ব্যর্থ হন। এর মধ্যে রান প্রায় এক শ’ ছুঁই ছুঁই। অবশেষে ৯৫ রানের মাথায় আউট হন লঙ্কান ওপেনার ওসাদা ফার্নাডো। তাকে ফেরান ইবাদত।

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে একটিও উইকেট পায়নি বাংলাদেশের পেসাররা। শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ দুজনকেই বেশ হতাশ হতে হয়েছিল। তবে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে একটু দেরিতে হলেও পেসার ইবাদত সেই ধারাটা ভাঙলেন এবং স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর ক্যাচে পরিণত করলেন ফার্নাডোকে।

এখন আরেক ওপেনার দিমুথ করুনারত্নের সাথে যোগ দিয়েছেন কুশল মেন্ডিশ। দিমুথের অপরাজিত আছেন ৫২ রানে আর মেন্ডিশের রান ৪।

এর আগে বাংলাদেশ সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৬৫ রান। যার সবকটি উইকেট নিয়েছেন দুই লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা (৫) ও আসিথা ফার্নান্দো (৪), একটি রান-আউট।

লঙ্কানরা নেমেছেন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে। ওসাদা ফার্নাডো আর দিমুথ করুনারত্নের জুটি ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৭ ওভার পর্যন্ত। এবাদত হোসেন তার ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ফিরিয়েছেন ৫৭ রান করা ওসাদা ফার্নাডোকে।

তার বিদায়ে ভেঙেছে ৯৫ রানের ওপেনিং জুটি। এর আগেও দুইবার সুযোগ এসেছিল উইকেট নেয়ার। ১৫তম ওভারে ওসাদা ফার্নাডোকে এলবির আবেদন করলে রিভিউ না নেয়ায় বেঁচে যান। এরপর ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে সাকিব ক্যাচ নিতে পারেননি নিজের বলে।