Naya Diganta

প্রশংসা কুঁড়াচ্ছেন তিশা

সারা বাংলাদেশের নাটকপ্রেমী দর্শকের কাছে এই সময়ের একজন প্রিয় অভিনেত্রীর নাম তানজিন তিশা। সব বয়সী দর্শকের কাছে অভিনয় দিয়েই তানজিন তিশা নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে নিয়েছেন। দেশের বাইরেও রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত। একজন সু-অভিনেত্রী হিসেবে তানজিন তিশা’র আজ যে অবস্থান তা তৈরির নেপথ্যে যে সব নির্র্মাতাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন শিহাব শাহীন, সাগর জাহান, মোস্তফা কামাল রাজ, কাজল আরেফিন অমি, সঞ্জয় সমদ্দার, মিজানুর রহমান আরিয়ান, মহিদুল মহিম, ভিকি জাহেদ, রাফাত মজমুদার রিংকু। তানজিন তিশার স্পষ্ট ভাষ্য, এ সব নির্মাতাদের নাটকে কাজ করে তার অভিনয় ক্যারিয়ারে প্লাস হয়েছে। যে কারণে তাদের প্রতি তিশা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কিছুদিন আগেই তানজিন তিশা’র বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার কারণে অভিনয় থেকে একটু দূরেই থাকতে হয়েছিল। তারপরও রোজার ঈদের জন্য তাকে বেশকিছু নাটকে অভিনয় করতে হয়েছে। খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না নাটকগুলো’কে ঘিরে তিশার। কিন্তু তারপরও নাটকগুলো প্রচার হওয়ার পর তিশা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছেন। তিশা বলেন,‘ সত্যি বলতে কী এবারের ঈদে প্রতিবারের মতো প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারিনি। তবে যখন যে নাটকে অভিনয় করেছি, ভীষণ মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করেছি। কারণ আমারও ভক্ত দর্শক আছেন, আমার নাটককে ঘিরে তাদেরও প্রত্যাশা আছে। বিশেষত ভিকি জাহেদের চোখ, রিংকুর সাইলেন্স, সাগর জাহানের পুকুরে ভাসা সংসার, মহিমের লাভ ট্রিপ এবং জাকারিয়া শৌখিনের উইডিং ক্র্যাশ নাটকে অভিনয়ের জন্য সাড়া পেয়েছি। আমি অভিনয়েই প্রশংসা পেয়েছি যা আমার জন্য খুব পজিটিভ। যেহেতু কষ্ট করে অভিনয় করি, তখন অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেলে নিজে তৃপ্ত হই।’ এ দিকে আজ তানজিন তিশার জন্মদিন। জন্মদিন প্রসঙ্গে তানজিন তিশা বলেন,‘ সব সময়ইতো আসলে আব্বু আম্মুকে নিয়েই জন্ম দিনের পরিকল্পনা করি। কিন্তু এবার আব্বু নেই। আব্বু গ্রামের বাড়িতে কবরে শুয়ে আছেন। সেখানে গেলেও একটু শান্তি পেতাম। এবার কোনোই প্ল্যান নেই জন্মদিন নিয়ে। আমার আব্বুর জন্য দোয়া চাই।’