Naya Diganta

সরাইলের ডকইয়ার্ড শিল্প বিলুপ্তির পথে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ডকইয়ার্ড শিল্প। উপজেলার অরুয়াইল, পাকশিমুল, ফতেহপুর, রাজাপুর, আজবপুরে তিতাস ও মেঘনা নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই শিল্প কারখানা। হাজার হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন এখানকার কারখানাগুলোতে। বালগেট, ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের নৌকা নির্মাণ করা হচ্ছে এখানে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই শিল্পে। শুষ্ক মৌসুমে এখানে নতুন করে বিভিন্ন নৌযান নির্মাণের তোড়জোড় চলে। বর্ষা মৌসুমে এখানে নির্মিত নৌযানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনে ব্যস্ত থাকে। জীবন-জীবিকার টানে নৌ-শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় কাটান তখন।
সরেজমিন গিয়ে এসব ডকইয়ার্ড শিল্প কারখানা ঘুরে মালিক ও কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে ২৯টি ডকইয়ার্ড শিল্প রয়েছে। এতে শ্রমিক আছেন আড়াই হাজার। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ আছে ২০টি। এতে শ্রমিক রয়েছেন ৫০০। এ ছাড়া নৌকা ও বালগেট নৌপরিবহন রয়েছে এক হাজার। এখানে শ্রমিক কর্মরত আছেন সাড়ে পাঁচ হাজার।
কিন্তু মেঘনার ভাঙনে আর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে শত বছরের ডকইয়ার্ড শিল্পটি এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। ওই কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়বে এখানকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। সেজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এখানকার শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে মেসার্স রহমত এন্টারপ্রাইজ ও রহমত নৌপরিবহনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত এই এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে জমজমাট নৌশিল্প গড়ে উঠেছে। হাজার হাজার নৌ-শ্রমিক এ শিল্পে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখানে সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই। তিনি আরো বলেন, এই শিল্পের সাথে জড়িত মালিকদের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যদি লোন দেয়া হতো তাহলে এখানে এই শিল্প আরো দ্রুত বিকশিত হতো।