Naya Diganta

পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সামার-২০২২ ট্রাইমেস্টারে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এবং পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: নূরল আনোয়ার অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এ কে এম এনামূল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কাজ করছে। স্বল্প ব্যয়ে গুণগত মানের উচ্চশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের তরুণ শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এ বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ায় বর্তমানে এ বিশ^বিদ্যালয় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ^বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান তোমরা শিক্ষা-গবেষণায় নিজেকে এবং দেশকে এগিয়ে নাও।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত মান অর্জনের দিকে এগিয়ে গেছে। এই অগ্রযাত্রায় সহযোগী হওয়ায় তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আলী আজম স্বপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমদ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: ফসিউল আলম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ড. সুদীপ পাল, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন, ইংরেজি বিভাগের কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর মাঈনুল হাসান চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে রতœগর্ভা বেগম আশ্রাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের পাঁচ কৃতী শিক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে ১২ জনকে দেয়া হয় স্মারক ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র। বিজ্ঞপ্তি।