সাইড চাওয়ায় সিনিয়রকে থাপ্পড় মারল ইবি ছাত্রলীগ কর্মী

হলে ঢোকার জন্য সাইড চাওয়ায় সিনিয়কে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের এক জুনিয়র কর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল গেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফারহান লাবীব ধ্রুব বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ও ভুক্তভোগী সাদরিল হাসান হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাদরিল বাইসাইকেল নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ধ্রুবসহ কয়েকজন হলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের সরে দাঁড়াতে বলেন সাদরিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগি¦তণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদরিলের গালে থাপ্পড় মারেন ধ্রুব। ধ্রুবের অভিযোগ, ‘সাদরিল তার পায়ে সাইকেল লাগিয়ে দেয়ায় বাগি¦তণ্ডা শুরু হয়। এ ছাড়া তিনি ধ্রুবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন;’ কিন্তু সাদরিলের দাবি, ‘ধ্রুবকে সাইকেল লাগেনি, সাইকেল থেকে নেমে তাদের সরে যেতে বলেন তিনি’।
এ সময় সাদরিলও তাকে মারতে উদ্যত হলে পাশে থাকা ছাত্ররা তাদের থামান। পরে ধ্রুব তার বন্ধুদের ডেকে এনে আবারো সাদরিলকে মারতে উদ্যত হন বলে জানা যায়। পরে উপস্থিত সবাই তাদের থামান।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাদরিল।
সাদরিল বলেন, ‘‘আমি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলাম। ধ্রুবসহ আরো একজন হলে ঢোকার গেটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি তোমরা এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন? তখন ধ্রুব বলে ‘দাঁড়িয়ে আছি মানে’ বলেই খুব জোরে আমার গালে থাপ্পড় দেয়। পরে তারা আবার মারতে আসে। পরে সে হলের ছাত্রলীগ নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করতে প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ দিকে ধ্রুবর বিরুদ্ধে এর আগেও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ১২ নভেম্বর সাদ্দাম হোসেন হল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফ ও তার বন্ধুদের মারধর করেন ধ্রুব ও তার বন্ধুরা।