Naya Diganta

পুঁজিবাজারের পতন সামলাতে মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ল

দেশের পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন সামাল দিতে এবং বাজারে তারল্য বাড়ানোর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের সীমা বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের বিনিয়োগের বিপরীতে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে সমপরিমাণ ঋণ পাবেন। অর্থাৎ কারো বিনিয়োগ ১০০ টাকা থাকলে তিনি ১০০ টাকাই ঋণ পাবেন বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গতকাল নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে আরো ১১৫ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর এই নির্দেশনা জারি করা হয়। আগের সপ্তাহের চার কর্মদিবসে ৩০৭ পয়েন্ট সূচকের পতনের স্মৃতি রয়েছে। পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিনিয়োগকারীদের তাদের তহবিলের বিপরীতে ঋণ দিয়ে থাকে। একে মার্জিন ঋণ বলে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী-রুবাইয়াত-উল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, যেকোনো সিকিউরিটিজের প্রাইজ আর্নিংস (পিই) রেশিও ৪০-এর নিচে হলে মার্জিন ঋণের সবোচ্চ সীমা হবে ১:১। অর্থাৎ মক্কেল বা গ্রাহকের তহবিলে ১০০ ভাগ হিসেবে প্রযোজ্য হবে। এ আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। ওই আদেশে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন আতঙ্কে পুঁজিবাজারে শেয়ারদর যখন ক্রমেই কমছিল, তখন গত বছরের ৪ এপ্রিল বিএসইসি মার্জিন ঋণের হার ১:০৮ করে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা ঋণ নেয়া যেত। এর আগ পর্যন্ত ঋণসীমা ছিল ১:০৫। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ৫০ টাকা ঋণ পাওয়া যেত। তবে সে সময় এই ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সূচকের সীমা ছিল। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের নির্দেশ অনুসারে, স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক ৪ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ দেয়া যেত। আর সূচক এর উপরে উঠলে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।