Naya Diganta

যশোরে সন্ত্রাসীদের হাতে যুবক খুন, ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার ভাই

যশোরে সন্ত্রাসীদের হাতে যুবক খুন, ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার ভাই।

যশোরে ইরিয়ান নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। জানা যায়, ওই সন্ত্রাসীরা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।

শনিবার রাত ১১টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইরিয়ান। এর আগে ওই দিন সকালে শহরতলির সুজলপুর জামতলা মোড়ে তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরে সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই রাতে ইরিয়ান মারা যান।

নিহত ইরিয়ান সুজলপুর গ্রামের খোরশেদ গাজীর ছেলে।

নিহতের পিতা খোরশেদ গাজী জানিয়েছেন, এলাকার গোলাপ, শরীফ, সাগর, জাকারিয়া, বুদো, নাহিদ, লিটন মিঠু ও লাবুর সাথে ইরিয়ানের বিরোধ ছিল। তারা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সেবনের সাথে জড়িত। এ কারণে মাঝে মাঝে পুলিশ তাদের ডেরায় অভিযান চালায়। তাদের ধারণা, ইরিয়ান পুলিশকে তথ্য দিতো। এ কারণে তারা তাকে শায়েস্তা করতে খুঁজতে থাকে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ইরিয়ান কৃষ্ণবাটি গ্রামে বোন শাহানারার বাসায় পালিয়ে ছিলেন। সাথে ছিলেন তার আরেক ভাইও। তিনি সুযোগ বুঝে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

শনিবার সকালে সন্ত্রাসীরা কৃষ্ণবাটি গ্রামে গিয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরে সেখান থেকে সুজলপুর জামতলা মোড়ে এনে দ্বিতীয় দফায় বেধড়ক মারপিট করে হাত-পা ভেঙে দেয়। এরপর দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের অনুরোধে ইরিয়ানকে ছেড়ে দিলে তার পরিবার যশোর আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মারপিটে ইরিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।

এদিকে এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সুজলপুর গ্রামের ইমরান, বিপ্লব ও দাউদসহ কয়েকজন এসব সন্ত্রাসীদের অর্থনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এমনকি দীর্ঘদিন ইমরানের মোটরসাইকেল ব্যবহার করে তারা। তদন্তপূর্বক অর্থযোগানদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।