Naya Diganta

এএফসি কাপ : লজ্জার হারে শঙ্কায় বসুন্ধরা কিংস

মোহনবাগানের উল্লাস।

ম্যাচের ২০ মিনিটেই বসুন্ধরা কিংস ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। অথচ ৩৪ মিনিটে দেখা গেল বাংলাদেশী ক্লাবটির জালে ২ গোল। ম্যাচ শেষে তারা পিছিয়ে ৪-০তে।

এএফসি কাপে শনিবার ভারতের কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাদের এই স্কোর লাইনে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকলো মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে তারা ২-৪ গোলে হেরেছিল গোকুলাম কেরালার কাছে।

অন্যদিকে এই হারে গভীর শঙ্কায় পড়েছে অস্কার ব্রুজনের দলের ইন্টারজোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে খেলা। এ জন্য ২৪ মে জিততে হবে ভারতের অপর দল গোকুলাম কেরালার বিপক্ষে। সেইসাথে নানা হিসাবের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

এর আগে প্লে-অফেও ঢাকা আবাহনীকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান।

প্রথম ম্যাচে মাজিয়ারকে ১-০ গোলে হারানোর বসুন্ধরা কিংস একাদশে দুই পরিবর্তন এনে মাঠে নামে শনিবার। ইনজুরিতে পড়া নূহা মারংয়ের বদলে একাদশে স্থান পান ম্যাথু চিনেডো। আর ইব্রাহিমের বদলে রিমন হোসেন। এই রিমন হোসেনের সাথে কপাল মন্দ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নদেরও। ১৮ ও ২০ মিনিটে বর্তমান উইংব্যাক ও সাবেক স্ট্রাইকার রিমনের দুটি শট প্রতিহত হয় মোহনবাগানের পোস্টে। প্রথমটি রবিনহোর ফ্রি-কিকে তার টোকা এবং পরেরটি বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো ডিফেন্সে ক্লিয়ার হওয়ার পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাম পায়ের তীব্র ভলি।

এরপরই ২৫ মিনিটে বিশ্বনাথের মারাত্মক ভুলে গোলের দেখা পান মোহনবাগানের স্ট্রাইকার লিস্টন কোলাসো। তার আলতো টোকায় পরাস্ত বসুন্ধরা কিংস গোলরক্ষক জিকো। ৩৪ মিনিটে কাউন্টাট অ্যাটাক থেকে স্কোর দ্বিগুণ করেন কোলাসো। আর বিরতির পর পূরণ করেন হ্যাটট্রিক।

৫৬ মিনিটে ফের গোলবঞ্চিত বাংলাদেশী ক্লাবটি। রবিনহোর ফ্রি-কিকে ইয়াসিন আরাফাতের হেড পোস্টে বাতাস দিয়ে বাইরে যায়। চলতে থাকে বসুন্ধরা কিংসের ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা। কিন্তু তাতে কোনো ফল তো এলোই না, উল্টো ৭৭ মিনিটে সুবিমল বাম পায়ের শটে জিকোকে চতুর্থবারের মতো বল কুড়াতে হয় জাল থেকে।

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর মিলে এই প্রথম এতো বাজে হার বসুন্ধরার। তা ডিফেন্স লাইনের ব্যর্থতায়।