Naya Diganta

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সিধু

নভজ্যোৎ সিং সিধু

পরনে নীল পোশাক। ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টা নাগাদ মাথায় পাগড়ি দেয়া এক দীর্ঘদেহী প্রৌঢ়কে ঢুকতে দেখা গেল পাতিয়ালা আদালতে। সাংবাদিকদের ভিড়ে ঠাসা কোর্ট চত্বর পেরিয়ে তখন তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশে উদ্যত। এদিকে ভিডিও, স্টিল ক্যামেরা তার ছবি নেয়ার জন্য হুড়োহুড়ি বাঁধিয়ে দিয়েছে।

নভজ্যোৎ সিং সিধু। ৩৪ বছর আগের এক অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় এদিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাঁর ঠাঁই হয় পাতিয়ালা সেন্ট্রাল জেলে। বৃহস্পতিবারই সিধুর এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এদিন সকালে তার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আত্মসমর্পণের জন্য সপ্তাহখানেক সময় চান। সরকারি আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। প্রশ্ন করেন, ৩৪ বছর সময়ও কী যথেষ্ট নয়? এরপর বিচারপতি এ এম খানউইলকর সিধুকে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে এদিনই সাজা কাটাতে আত্মসমর্পণ করলেন সিধু।

তারকা কয়েদিকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই সেন্ট্রাল জেলের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। এদিন বিকেলে আদালতে প্রবেশের কিছুক্ষণের মধ্যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত মোহন তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মাতা কৌশল্যা হাসপাতালে হয় ডাক্তারি পরীক্ষা। তারপর সরাসরি সেন্ট্রাল জেল।

সিধুর আইনজীবী এইচ পি এস ভার্মা বলেন, ‘আমরা তার (সিধু) শারীরিক অবস্থার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তার ময়দা জাতীয় খাবারে নিষেধ রয়েছে। সেকথা উল্লেখ করেছি। আশা করছি, তার খাবারের ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষ নজর দেবে।’

সিধুকে যে সাধারণ কয়েদি হিসেবেই বিচার করা হবে বলে জানিয়ে দেন পাঞ্জাবের এডিজি বারিন্দর কুমার। এই পাতিয়ালা জেলেই রয়েছেন সিধুর কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত বিক্রম সিং মাজিথিয়া।
সূত্র : বর্তমান