Naya Diganta

ঢাবিতে নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতন বন্ধের দাবি ও বঙ্গবন্ধু হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। কেন করা হচ্ছে? কারণ তারা সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের কথা শোনে না। ক্ষমতার শেষ দিকে এসে আপনারা (ছাত্রলীগ) হতাশ হয়ে বড় বড় মিছিল করে যাচ্ছেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন যারা মিছিলটা লম্বা করছে তারা কতজন মন থেকে আপনাদের নেতা হিসেবে মানে? এই মিছিল উল্টে যেতে সময় লাগবে না। তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার ছিনিয়ে আনল, সেসব ছাত্রকে গোলাম বানিয়ে রেখেছে ছাত্রলীগ। তাদের গেস্টরুমে নির্যাতন করা হচ্ছে, টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এসব কিছু রুখে দেয়ার। এ সময় সব নির্যাতন রুখে দিতে সারা দেশের ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, দিনে প্রোগ্রাম, রাতে গেস্টরুম, দিনে প্রোটোকল রাতে গণরুম। এভাবেই চলছে শিক্ষার্থীদের জীবন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবন-মানের চিত্র এই, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেই যাচ্ছে। কারণ তারা হলো ছাত্রলীগের প্রথম সারির ভৃত্য।
তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন আগে বিজয় একাত্তর হলের ঘটনায় দিনের বেলা নেতা মধুর ক্যান্টিনে গেছেন, পরীক্ষার কারণে তাকে প্রোটোকল দিতে যেতে পারেনি এক শিক্ষার্থী। তার জন্য তাকে মুরগি সাজিয়ে রাখা হলো। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য এটি সর্বোচ্চ অপমানের বিষয়। ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন হয়তো আপনারা এসব করে পার পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সময় সবসময় এরকম থাকে না, সব কিছু স্মরণ রাখা হচ্ছে। আজ হোক কাল হোক সব ফিরিয়ে দেয়া হবে। আজ না হোক, এক শ’ বছর পরে হলেও আপনাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
ঢাবি শাখার সিনিয়র সহসভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, এমন কোনো মাস যায়নি হলগুলোতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ঘটনা ঘটে, যা আমাদের কানে আসে না। যাদের থাকার জায়গা নেই তাদের সাথে যা হয় তারা ভয়ে কাউকে সেসব বলে না। অতএব সবাইকে আহ্বান জানাবো যাতে তারা প্রতিবাদ করে। আমরা চাই, আন্টি র্যাগিং আইন বা গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন করা হোক। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর, মলচত্বর, শ্যাডো ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে আবার রাজুতে এসে শেষ করেন।