Naya Diganta

জনগণ রাস্তায় নামলে সাত দিনে সরকার পতন : নুর

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, এই সরকার লুটপাটের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা পাগল হয়ে গেছে। তাই তো ড. রেজা কিবরিয়ার বাবা, যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করেছেন তাকে নিয়ে বাজে কথা বলছেন। এই সরকার ড. ইউনূসের মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে কিভাবে অপমান করেছে আমরা দেখেছি। রিজার্ভ নিয়ে সরকার যে হিসাব দিচ্ছে তা প্রকৃত হিসাব নয়, সেখানে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। জনগণ রাস্তায় নামলেই সরকারকে হঠাতে এক মাস কিংবা এক বছর লাগবে না এক সপ্তাহ সময় লাগবে মাত্র। রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে’ বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হয়ে ভালো ছাত্ররাও মাদকাসক্ত হয়ে যায়, খুনি হয়ে যায়। এরা শুধু ভিন্ন দলের লোককে খুন করে না, এরা নিজের দলের লোককেও খুন করে। বাংলাদেশের এই কর্তৃত্ববাদ সরকার যদি আরো এক মেয়াদ থাকে, তা হলে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলতে চাইÑ গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল, এই অভ্যাস পরিহার করুন। বিদেশীরা কখনো ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে না। ক্ষমতায় বসতে চাইলে এ দেশের জনগণকে নিয়ে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গণ অধিকার পরিষদের আতাউল্লাহ বলেন, সব কিছুর দাম বাড়ছে। মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করছে। দেশ ফেরাউনের নীতিতে শাসন হচ্ছে, জালিম শাসক তার জুলুমের মসনদ টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদী মানুষকে ডুবিয়ে মারতে চায়, ফেরাউন ডুবিয়ে মারতে পারেনি, শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে জনগণকে ডুবিয়ে মারতে চেয়ে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের উত্থানকে সরকার ভয় পায় বলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। আপনারা তো বলেছেন পদ্মা নদীতে চুবাবেন, জনগণ সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বুড়িগঙ্গা নদীতে চুবাবে। পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেনÑ গণ অধিকার পরিষদের সোহরাব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল জামান, আব্দুজ জাহের, ফাতেমা তাসনিম, রিজওয়ান রুপ দীনেশ, জাহিদুল আলম, শামসুল আলম, মনজুর মুরশেদ, নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সুহেল মৃধা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আব্দুর রহমান প্রমুখ।