Naya Diganta

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতিকে লজ্জিত করেছে : ইউট্যাব

পদ্মা সেতুর শুরুর দিকের অর্থায়ন ও কাজ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে ওখান থেকে টুস করে পদ্মায় ফেলে দেয়া উচিত’ বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রেখেছেন তা আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য পুরো জাতিকে লজ্জিত ও হতবাক করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের অশ্রাব্য বক্তব্যে বহির্বিশে^ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে। এভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলতে থাকলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কী শিখবে?
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন- ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের পেছনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা আছে। ফলে তাকেও পদ্মায় নিয়ে দু’টি চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেয়া উচিত। মরে যাতে না যান, পদ্মায় একটু চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়’। নেতৃদ্বয় বলেন, একটি দেশের সরকার প্রধানের মুখে যদি দেশের সম্মানিত ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত সিনিয়র নাগরিক সম্পর্কে এ ধরনের ঘৃণ্য মন্তব্য শোনে তাহলে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশীদের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হবে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে দু’জন ব্যক্তি নিয়ে বিরূপ ও অশালীন মন্তব্য করেছেন তারা উভয়েই নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের অবদানের জন্য স্বমহিমায় ভাস্বর। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক। যিনি বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত ও প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন। তার শাসনামলে বাংলাদেশের নারীর ব্যাপক ক্ষমতায়ন হয়েছে। নারীদের অবৈতনিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন মহতী কর্মকাণ্ড আজো মাইলফলক। তার স্বামী রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক। তাকে নিয়ে শেখ হাসিনা যে অশালীন মন্তব্য করেছে তা নিঃসন্দেহে আমাদের সবাইকে মর্মাহত ও ব্যথিত করেছে।