Naya Diganta

শাহবাজ শরিফের ‘পাকিস্তান স্পিড’

পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে কয়েক বছর আগে ‘শাহবাজ স্পিড’ উপাধি দিয়েছিল চীন। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সিপিইসির জন্য তাকে এই বিখ্যাত উপাধি দেয়া হয়। জনাব শাহবাজ নাটকীয়ভাবে ক্ষমতায় ফিরে এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
‘শাহবাজ স্পিড’ একসময় সিপিইসিতে দ্রুততা ও উদ্দীপনার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী পাঞ্জাবের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও মসৃণ করেছিলেন। তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনেক প্রকল্প সম্পন্ন করেন, চীনা সংস্থাগুলোর সাথে একটি ফলপ্রসূ কাজের সম্পর্কের সূচনা করেন, আমলাতান্ত্রিক ত্রুটিগুলো বের করা হয়েছিল, হোঁচট খাওয়ার বাধাগুলো সরিয়ে দেয়ার জন্য চেন অব কমান্ড পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন এবং সিপিইসির অগ্রগতিতে অনেক মাইলফলক অর্জন করেছিলেন, যা এখনো চীনা কর্মকর্তারা স্মরণ করেন। তার এ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপমন্ত্রী ঝেং জিয়াও সং ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর শাহবাজ শরিফকে ওই উপাধি দেন। ঝেং বলেছিলেন, ‘চীন স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত, এমনকি চীনা মানদণ্ডেও তখন সিপিইসির কাজের গতি ব্যতিক্রমী ছিল।
পরে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি, বিদায়ী চীনা কনসাল জেনারেল শাহবাজ শরিফকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ‘শাহবাজ স্পিড’ অর্জনের জন্য তার প্রশংসা করেন। তিনি সিপিইসি প্রকল্পের জন্য শাহবাজ শরিফের অবদানের প্রশংসা করেছিলেন। অনেক রাজনীতিবিদ শাহবাজকে লেখা চীনা কনসাল জেনারেলের চিঠিকে পাকিস্তানের জন্য গর্বের বিষয় বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদে প্রথম ভাষণে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘শাহবাজ স্পিড’ এখন থেকে ‘পাকিস্তান স্পিড’ হয়ে উঠবে এবং পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক অনুকরণীয় ও অভূতপূর্বভাবে অতুলনীয় অবস্থায় নিয়ে যাবে। শাহবাজ জানান, ইমরান খানের বিরুদ্ধে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেবেন না। কিন্তু ইমরান খানের সময়ে সিপিইসি মেগা প্রকল্পে তিনটি প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ায় পৃথক তদন্ত কমিশন গঠন করেন। ফলে চীন এ পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে।
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় চীন শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছে। টুইটারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘চীন একটি উচ্চমানের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সিপিইসি এবং নতুন যুগে একটি ভাগ করে নেয়া ভবিষ্যতের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ চীন-পাকিস্তান জোট গড়ে তুলতে পাকিস্তানের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
শাহবাজ শরিফ এ মুহূর্তে পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পিএমএলের (এন) সভাপতি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় চার দশক আগে রাজনৈতিক জীবন শুরু করার পর থেকে তিনবার এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বন্ধুরা আশা করেন, জনাব শরিফ স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তার উচ্চারিত ‘পাকিস্তান স্পিড’ অর্জন করতে পারবেন।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে অনিয়ম ও বিধিসম্মত না হলেও সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখে। জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াও অবাঞ্ছিতভাবেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। রাজনীতিতে বাজওয়ার এই সম্পৃক্ততা এবং অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপের ঘটনায় অনেক বিশ্লেষক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। জনাব বাজওয়া ১৭ এপ্রিল লাহোরে সরকারি-বেসরকারি প্রবীণদের ডেকে নিয়ে ভাষণ দেন। সে ভাষণে কোনো প্রজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। তা ছাড়া জনসাধারণকে বোকা বানানোর দিন আর নেই। অনেকেই মনে করেন, অবসরের পর তিনিও জেনারেল কাইয়ানি ও জেনারেল মোশাররফের মতো পাকিস্তান ছেড়ে সৌদি আরব বা কোথাও পালিয়ে যাবেন; কেননা পাকিস্তানের সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাজওয়া কাজ করা থেকে বিরত রয়েছেন।
অনেকেই অবাক হয়েছেন, দেশে রাজনৈতিকভাবে কোনো ভুল না থাকা সত্ত্বেও এবং পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকা সত্ত্বেও কোনো বিশেষ কারণ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাজওয়াকে বাধ্য করেছিল? বলা হচ্ছে- লুণ্ঠনকারীরা, মেগা দুর্নীতির সাথে জড়িত, অপরাধীরা ডন লিকের কুচক্রী, মেমো গেট কেলেঙ্কারি, অফশোর কেলেঙ্কারি এবং পাকিস্তানের সার্বভৌম মাটিতে ৪০০ বার ড্রোন হামলায় সমর্থনকারীদের পাশে অবস্থান নিয়েছিল।
একজন ব্যক্তি যিনি পাকিস্তানকে একটি সার্বভৌম আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন তাকে কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি। বাজওয়ার চক্রান্তে তিনি অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া সফরের পর, যারা পাকিস্তানের নতুন কৌশলগত অংশীদার এবং অর্থনীতির সমর্থক ছিল তারা তার এসব কাজের অপব্যাখ্যা করেছে।
ইমরান খানের সময়ে দু’বার পাকিস্তান কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়। একবার যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইএসআইএস ও আলকায়েদার বিরুদ্ধে বিমান অভিযান শুরু করার জন্য বিমান ঘাঁটি চেয়েছিল, যা ইমরান সরাসরি নাকচ করেন। বলেন, ‘কখনো নয়’, এবং দ্বিতীয়বার পশ্চিমা বারণ সত্ত্বেও পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ভারতীয় আগ্রাসনের পাল্টা প্রত্যাঘাত করে বিমান যুদ্ধ-কৌশলের সূক্ষ্ম কাজ দেখিয়ে প্রশংসা অর্জন করে। এই দু’টি বিষয় ইমরান খানের শক্তিশালী নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সমগ্র জাতি সেটি গ্রহণ করেছিল এবং মুসলিম উম্মাহ এতে গর্ববোধ করেছিল। সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে বাজওয়ার অবদান ছিল শূন্যের কোঠায়। তিনি কোনো পর্যায়ে কোনো ফোরামে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। সেনাবাহিনীর প্রধান প্রধানমন্ত্রীর কমান্ডের অধীনে একটি প্রতিষ্ঠান, তথাপি তিনি মাফিয়া আলিম খানকে কেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছিলেন? শাহবাজ ও হামজা শরিফকে জামিনে আনা এবং কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে বাজওয়ার কোনো বক্তব্য ছিল না, বরং তিনি চিন্তিত ছিলেন!
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংবিধান দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার চেয়ে উচ্চতর নয়, সংবিধানের চেয়ে পাকিস্তানের অগ্রাধিকার রয়েছে। সেনাবাহিনী ড্রাইভিং সিটে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে যে ক্যাঙ্গারু আদালত, বেনজির ভুট্টো এ নামেই আদালতকে ডাকতেন, আবার একত্রিত হবে যেমনটি তারা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য জাতীয় সংসদের অধিবেশনের ঘোষণা দেয় এবং কার নির্দেশে রাতে হাইকোর্ট খোলা হয় এবং সিদ্ধান্ত দেয়া হয়? জনাব খান নিজেই তার বিচার চেয়ে রিট করেছেন কয়েক দিন আগে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিচার বিভাগ বহিঃপ্রভাব থেকে মুক্ত নয়। তারা আরো বলেন, পাকিস্তানে তিনটি শক্তি কাজ করে, সরকার, সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ। এবারের ৯-১০ মধ্যরাতের পুরো অপারেশন ‘জ্যাকল’ সেনাপ্রধানকে মধ্যরাতে বরখাস্ত করা এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট খোলা হয়েছিল। কে আসলে ওই সময়টুকুতে সরকার চালাচ্ছিল তার উত্তর এখনো অনেকের জানা নেই। কারা প্রিজন ভ্যানের অর্ডার দিয়েছিল এবং কারা বিদেশে যাওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল তাও মিডিয়ায় প্রয়োজনের সময় আসেনি অথচ পাকিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তারা এসব কিছুই জানেন। ওই অল্পসময়ে কে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছিল এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সবার আঙুল বাজওয়ার দিকে। শাহবাজ শরিফকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত অভিনন্দনে সিক্ত করে খুব তাড়াতাড়ি। ইমরান খান অবশ্য শরিফ সরকারকে আখ্যা দিয়েছেন, ‘আমদানি করা সরকার’।
পাকিস্তানের ১৯৭৩ সালের সংবিধান অনুযায়ী, ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে জাতীয় সংসদ অধিবেশন মুলতবি করার জন্য উপ-স্পিকারের রায় দেয়ার পরে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং এটি সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল যে তিনি রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেয়ার জন্য এবং ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের জন্য বেছে নেয়ার চিঠি লিখেছিলেন, যা রাজনৈতিক বিরোধের সর্বোত্তম সমাধান ছিল। এটাও প্রশ্নসাপেক্ষ যে, নির্বাচন কমিশন কেন তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে না বলে ঘোষণা দেয়। সংবিধান অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে কমিশন বাধ্য। না বলার অধিকার তার নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে এখনো এটি পরিষ্কার নয় যে, কারা সুপ্রিম কোর্টকে মধ্যরাতে খোলার সহায়তা করেছিল এবং পুরো ঘটনার জন্য কে দায়ী। যদি সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা জনসাধারণের অর্থ অপচয় করে নতুন নির্বাচন আয়োজনের পরিবর্তে অন্য কোনো উপায়ের জন্য আন্তরিক হন তবে তাদের উচিত ডেপুটি স্পিকারের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আদেশগুলো প্রত্যাহার করা এবং নতুন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় কোষাগার সংরক্ষণের জন্য সরকারের পুনর্বহাল নিশ্চিত করা। জনাব বাজওয়ার উচিত অরাজকতা থেকে দেশকে বাঁচানো এবং আরো ক্ষতি থেকে ফিরিয়ে আনা। এখন ইমরানের বিপুল জনসমর্থন সরকারের জন্য এক অশনি সঙ্কেত। বাজওয়া বলছেন, মেয়াদ ফুরালেই তিনি অবসরে যাবেন, আরো ক্ষমতায় থাকার জন্য আবেদন করবেন না।
এ দিকে নতুন মন্ত্রিসভায় সুন্দরী হিনা রাব্বানি খার-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ ও বিলাওয়াল ভুটোরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করা নিয়ে উপমহাদেশের ট্যাবলয়েট পত্রিকাগুলো এখনই জবরদস্ত মুখরোচক নিবন্ধ ছাপতে শুরু করেছে। দারুণ সুন্দরী এক মহিলা হিনা রাব্বানি খার ২০১২ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতে সফরে এসে বলেছিলেন, ‘ভারতীয় পত্রিকাগুলো রাজনৈতিক বক্তব্যের বদলে আমি কি রঙের পোশাক পরলাম, কোন সানগ্লাস পছন্দ করি তা নিয়েই ব্যস্ত।’ তখন থেকেই বয়সে বড় হিনার সাথে বিলাওয়ালের প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাবা জারদারি ছেলেকে তিরস্কার করায় বিলাওয়াল পাকিস্তান ছেড়ে দুবাই চলে যান এবং রাজনীতি না করার ঘোষণা দেন। জারদারি দুবাই গিয়ে বিলাওয়ালকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনেন। এখন শাহবাজ শরিফের সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে বিলাওয়াল ভুট্টো এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে হিনা রাব্বানি। কূটনৈতিক সফরে দু’জনের একসাথে বিদেশ যাওয়া বিচিত্র বিষয় হবে না। তখন কি পুরনো প্রেম জেগে উঠবে এবং বিশ্বের ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো কোনো মজার তথ্য ছড়াবে, তা এখনই এক গরম বিষয়। হিনার সংসার আছে যা তিনি করতে চান না। আর বিলাওয়াল নিশ্চয়ই কারো আশায় এখনো বিয়ে থা করেননি। জারদারি এখন কী করবেন? হয়তো কিছু করার নেই। শাহবাজ সরকারের এই রোমান্স হয়তো ভবিষ্যতে মুখরোচক উপাখ্যানে পরিণত হতে পারে।
অন্য দিকে ইমরান খান একটুও দমেননি। জিও নিউজ জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শত্রুতা করার মতো সামর্থ্য রাখে না পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক স্থাপন করা দরকার। বেনজির ভুট্টোও তার বইতে লিখেছেন, ওয়াশিংটনের আশীর্বাদ ছাড়া পাকিস্তানের মসনদে টিকে থাকা সম্ভব নয়। ইমরান খানের বিদায় হয়তো তারই প্রমাণ। ইমরান এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির জন্য তিনি কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার