Naya Diganta

দেশবরেণ্য আলেমদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে : জামায়াত

দেশবরেণ্য আলেমদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে : জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ঢাকা জেলা দক্ষিণের আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেছেন, ঘাদানিকেরা কথিত গণকমিশনের নামে দেশ বরেণ্য আলেম-উলামার চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তারা দেশে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি দেশ বিরোধী শক্তিকে খুশী করতে চায়। মূলত, আলেমগণই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই জাতির এসব অভিভাবকদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ বিনাচ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। তিনি দেশ, জাতি, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ঢাকার কেরানিগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত তথাকথিত গণকমিশন কর্তৃক দেশবরণ্যে ১১৬ আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, জঙ্গিবাদে অর্থায়ন, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও ইসলামের অপব্যাখ্যার কথিত অভিযোগের প্রতিবাদে এবং তথাকথিত গণকমিশনের হোতাদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি কেরানিগঞ্জ চুনকুটিয়া থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ ঢাকা-মাওয়া সড়কে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মো: শাহিনুর ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি এ বি এম কামাল হোসাইন, শিবিরের জেলা সভাপতি সাফিউল আলমসহ জেলা ও বিভিন্ন থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেন, আমাদের দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি ও অনিয়ম স্থায়ী রূপ লাভ করেনি। কিন্তু কথিত গণকমিশন সেসব বিষয়কে পাশ কাটিয়ে কথিত স্বেতপত্রের নামে ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী রচনা করেছে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক তার দলের নেতাদের অর্থপাচারের আত্মস্বীকৃতি দিলেও সে বিষয়ে কথিত ‘গণকমিশন’-এর কোনো তৎপরতা নেই।

তিনি বলেন, এসব ইসলামী বক্তাদের দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং আর জঙ্গিবাদে অর্থায়নের সুযোগই বা কোথায়? এদের অর্থের উৎসই বা কী? একজন জেলা পর্যায়ের ছাত্রনেতা বিদেশে যত অর্থ পাচার করেছেন ১১৬ জন ধর্মীয় নেতার মোট সম্পদের পরিমাণ তত হবে বলে কোনো বিবেকবান মানুষ বিশ্বাস করেন না। তাই দেশ, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে আবারো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি