Naya Diganta

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে আপত্তি নেই আ’লীগের : হানিফ

আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আগামী নির্বাচন, রাজনৈতিক সঙ্কট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আওয়ামী লীগের বিশ্বাস, নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সরকার বিরোধী আন্দোলনের কোনো ইস্যু না পেয়ে, দর-কষাকষি করে সুবিধা নিতেই বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলছে। নির্বাচনী মাঠ গরম করতে চাইছে।
অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, পরাজিত হলে ভোটের ফলাফল না মানা এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই বলেও মন্তব্য তার। সবাই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়াটা ভালো লক্ষণ নয় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সভায় বক্তারা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এ দেশের যে কোনো সঙ্কটে বেশি আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কাজেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আলোচক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেন, নির্বাচন যখন এগিয়ে আসে, তখন নির্বাচন অভিশাপ হয়ে আসে দেশের সংখ্যালঘুদের কাছে। নানা জায়গায় তাদের ওপর হামলা করে একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।
জাতীয় সরকার গঠন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জাতীয় সরকার এটা সংবিধান অনুযায়ী সমর্থন হতে পারে না। দেশের সঙ্কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোনো সঙ্কট দেখছি না। কিসের সঙ্কট? স্বাভাবিক নিয়মে নির্বাচন হবে। সরকার সেদিকেই যাচ্ছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজন ছিল। সেটাও হয়েছে। আর এটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। ফলে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে। সুতরাং সঙ্কট না। সঙ্কট হলো, যারা সঙ্কট সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা মূলত চাচ্ছে দেশটা শ্রীলঙ্কা হয়ে যাক।
বিবার্তা ২৪ ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসির সভাপতিত্বে ও জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।