Naya Diganta

২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপি অনুমোদন

২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপি অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কিছু নির্দেশনার উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারিখাতসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে পানি ও বিদ্যুতের মতো ইউটিলিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপচয় রোধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের কঠোরতা বজায় রাখতে হবে এবং কোনো কিছুর অপব্যবহার করা উচিত নয়। আমরা যদিও একেবারে সঠিক পথে আছি, তারপরও অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। প্রবৃদ্ধির বর্তমান গতিময়তা ধরে রাখার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী।’

মান্নান বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এমন সব প্রকল্প গ্রহণ করতে বলেছেন, যেগুলো জনগণ ও দেশের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এছাড়া, তিনি সকল পর্যায়ে সরকারি তহবিলের অপব্যবহার রোধ করার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় জানানো হয়েছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ একবারে শেষ পর্যায়ে। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ আরো বাড়বে। এতে অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পায়রা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সময়সূচি অনুযায়ী চলছে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যেহেতু জনবান্ধব সরকার, তাই জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সবসময় কাজ করা হয়। সাধারণ মানুষকে খুশি করার চেষ্টা সবসময় থাকে।

বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আগামী অর্থবছরে সরকারের সম্ভাব্য করণীয় কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার অবশ্যই অপচয় রোধের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যয় করার চেষ্টা করবে। ‘আমরা সতর্ক আছি, কিন্তু কোনোকিছুতে ভীতু নয়।’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগামী দিনে বৈদেশিক ঋণ প্রবাহে কোনো সমস্যা হবে না।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে, কারণ এখন অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা কমানো হলেও সার্বিকভাবে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

নতুন এডিপিতে খাতভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৯ হাজার ৪১২ কোটি, শিক্ষায় ২৯ হাজার ৮১ কোটি, গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাতে ২৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, স্বাস্থ্য খাতে ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি, কৃষি খাতে ১০ হাজার ১৪৪ কোটি, পরিবেশ, জলবায়ু, পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ খাতে ৯ হাজার ৮৯৫ কোটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ৫ হাজার ৪০৭ কোটি এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সূত্র : বাসস