Naya Diganta

মুক্ত বিশ্বের দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ কতদিন চলবে : জেলেন্সকি

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার বলেন, ‘এই যুদ্ধ কতদিন চলবে তা এখন কেউই অনুমান করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের ভূখন্ড দ্রুত মুক্ত করতে আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব তার সবই আমরা করছি। এটাই আমাদের অগ্রাধিকার–যুদ্ধটি সংক্ষিপ্ত করতে প্রতিদিন কাজ করে যাওয়া।’

জেলেন্সকি বলেন যে, যুদ্ধের স্থায়ীত্বকাল ‘দূর্ভাগ্যজনকভাবে শুধু আমাদের দেশের মানুষদের ওপর নির্ভর করছে না, যারা কিনা ইতোমধ্যেই তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘সেটা আমাদের সহযোগীদের ওপরও নির্ভর করছে–ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর, মুক্ত বিশ্বের সকল দেশের ওপর।’

ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে ন্যাটোর পরিধি বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা, শনিবারের আলোচনার মূল বিষয়বস্তুগুলোর একটি। ন্যাটো পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বার্লিনের পথে রওনা করেছেন।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো এবং প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে তাদের অনুমোদন প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে এমন পদক্ষেপ গৃহীত হলে, তা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন সাধন করবে।

অপরদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বলেন যে, তার দেশ ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান সমর্থন করে না। এর কারণ হিসেবে কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠীর মত সংগঠনগুলোর প্রতি ওই দুই দেশের সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তুরস্ক এগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, তারা ‘তুরস্কের অবস্থান পরিষ্কার’ করার বিষয়ে কাজ করছেন। একই সাথে তারা আবারো বলেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ফিনল্যান্ড এবং/অথবা সুইডেনের ন্যাটো যোগদানের আবেদন সমর্থন করবে, যদি তারা আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়।’

যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের নিনিস্তোর সাথে আলাপ করেন।

ফোনালাপের সংলাপ প্রকাশ করে হোয়াইট হাউজ জানায়, ‘ন্যাটোর উন্মুক্ত দ্বার নীতি এবং ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ, পররাষ্ট্রনীতি, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারের প্রতি তার সমর্থনের বিষয় উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।’ আরো জানানো হয় যে, ওই নেতারা ‘যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের মানুষের জন্য তাদের সমন্বিত সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতি, তাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেন।’

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা