Naya Diganta

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ফোনে ফেসবুক সংক্রান্ত একটি সমস্যা সমাধানের কথা বলে অভিযুক্ত পিবিআই পরিদর্শক ধর্ষণ করেন ওই ছাত্রীকে।

রোববার দুপুরে খুলনা মহানগরীর ৯ নম্বর ছোটমির্জাপুর রোডস্থ কাগজী হাউজ নামক বাড়ির নিচতলার একটি পত্রিকা অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার মূল অভিযুক্ত পিবিআই খুলনার ইন্সপেক্টর আহসান মাসুদকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রী ওই মেয়েটির বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। তিনি ২০২১ সালে সরকারি বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন। মোবাইল ফোন অথবা ফেসবুকের ছবি সংক্রান্ত কোনো এক সমস্যা নিয়ে পাঁচ দিন আগে পিবিআই ইন্সপেক্টর মাসুদের কাছে যান। এ সুবাদে তাকে সহযোগিতা করার কথা বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ ছোটমির্জাপুর রোডের কাগজী হাউজের ওই পত্রিকা অফিসের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

আরো জানা গেছে, ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি খুলনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর ওই মেয়েটিকে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) সোনালী সেন, সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) ইয়াজিদ ইবনে আকবর ও খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অফিসটি তালাবদ্ধ থাকায় পুলিশ কর্মকর্তারা তালা ভেঙে অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, মহানগরীর ৯ নম্বর ছোটমির্জাপুর রোডস্থ কাগজী হাউজের ওই বাড়িতে ইনকিলাব নামে একটি পত্রিকার অফিস রয়েছে। ঘটনার সাথে পত্রিকার কেউ সম্পৃক্ত আছে কি-না সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে ওই কলেজছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দৈনিক ইনকিলাবের খুলনা ব্যুরো প্রধান ডি এম রেজা সোহাগ বলেন, এক বছর আগে দৈনিক ইনকিলাবের যে দু’জন কর্মরত ছিলেন তাদের কর্তৃপক্ষ অব্যাহতি দিয়েছে। এছাড়া ওই সময় অফিসটিও ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওখানে ইনকিলাবের কোনো অফিস নেই। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনাটিও আমি জানি না।

ইনকিলাবের অপর সংবাদদাতা আবু হেনা মুক্তি বলেন, বটিয়াঘাটার মাছ ব্যবসায়ী হাসান তারেক জাকির ও বাচ্চু আলী বেগ নামে দু’জনের সাথে তারা যৌথভাবে অফিস ভাড়া নেন। এক পাশে ইনকিলাবের অফিস অন্য পাশে তারা বসতেন। তিনি খুলনার বাইরে থাকায় হাসান তারেক জাকির পিবিআই ইন্সপেক্টর মাসুদসহ ওই মেয়েকে নিয়ে অফিসে যায় বলে তিনি শুনেছেন। তবে, জাকিরের ফোন বন্ধ থাকায় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।