Naya Diganta

ফিলিস্তিনিদের ৭৪তম ‘নাকবা’ দিবস আজ, তাদের সাথে কী ঘটেছিল সেদিন

১৫ মে ফিলিস্তিনিদের ‘নাকবা’ দিবস।

আজ ১৫ মে। ঐতিহাসিক ‘নাকবা’ দিবস। ১৯৪৮ সালের পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে অত্যন্ত দুঃখভরে স্মরণ করেন ফিলিস্তিনিরা। কেননা, ফিলিস্তিনিদের জন্য দিনটি অবমাননা ও বিপর্যয়ের।

‘নাকবা’ আরবি শব্দ। বাংলা তরজমা করলে এর অর্থ দাঁড়ায় ‘বিপর্যয়, দুর্ঘটনা ও দুর্ভাগ্য’।

৭৪ বছর আগে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়। তাদের ভূখণ্ড দখল করে অবৈধভাবে ইসরাইল নামের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। আর এই অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করতে ও ইহুদি বসতি স্থাপন করতে ৭ লাখ ৫০ হাজার সাধারণ ফিলিস্তিনিকে তাদের জন্মভূমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়।

সেই থেকে দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ভাগ্য-বিপর্যয়ের দিন হিসেবে দেখে এবং বিপর্যয় তথা ‘নাকবা’ দিবস হিসেবে পালন করে। এরপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের স্বাধীকার লড়াই চলছে।

বিশ্লেষকেরা বলেন, নাকবা দিয়ে মূলত ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের ওপর জাতিগত নিধন বোঝানো হয়। ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও তাড়িয়ে দিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০টির মতো গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইলিরা।

নিজেদের জন্মভূমি ফিরে পেতে আজও লড়াই করছে ফিলিস্তিনিরা। সেদিন যাদের বাপ-দাদার ভিটে থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তারা আর কখনো সেখানে ফিরে যেতে পারেননি। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের বংশধরেরা গাজা, পশ্চিমতীর ও বিভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন। ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার ৭৪ শতাংশ বর্তমানে শরণার্থী জীবনযাপন করছেন।

সূত্র : আলকুদস