Naya Diganta

গম রফতানি বন্ধ করল ভারত

ফসল উৎপাদনে ঘাটতি ও অর্থনীতির চাপে আপাতত গম রফতানি বন্ধ করল ভারত

অর্থনীতির চাপ আর দেশে খাদ্যসংকট নিয়ে শঙ্কা থেকে গম রফতানি বন্ধ করেছে ভারত সরকার। পিটিআই সূত্রে খবর, অবিলম্বে গম রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার ভারত সরকার জানিয়েছে, ইতোমধ্যে যেসব এলসি ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলোই শুধু রফতানি করতে দেয়া হবে।

ভারতে গত মার্চের তীব্র তাপপ্রবাহ ফসল উৎপাদনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এরই মাঝে দেশে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে গম উৎপাদন। এছাড়া এপ্রিলে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৭.৭৯ শতাংশে উঠে যায়। এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের তাকিদেই ভারতের এমন সিদ্ধান্ত।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের ফেলে আসা শূন্যস্থান পূরণের লক্ষ্যে ভারত ‘গম কূটনীতি’ শুরু করেছিল। চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ গম উৎপাদক দেশ ভারত। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগর এলাকা দিয়ে গম রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিশ্বের ক্রেতারা ভারতের গমের প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে গোটা বিশ্বে গমের চাহিদা বেড়েছে। মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বৃহত দুই গম রফতানিকারক দেশ। তবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বহু দেশ। আবার ইউক্রেনে যুদ্ধ চলায় গম রফতানি করতে পারছে না সেই দেশ।

এই অবস্থাকে সামনে রেখে ভারত শূন্যস্থান পূরণের লক্ষ্যে নেমেছিল। ২০২২-২৩ সালে রেকর্ড ১০ মিলিয়ন টন গম রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল দেশটি। গম রফতানি বাড়ানোর চেষ্টায় কেন্দ্রীয় সরকার মরক্কো, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, আলজেরিয়া এবং লেবাননে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে বলে জানিয়েছিল বৃহস্পতিবারই। তবে আপাতত ‘গম কূটনীতি’ জারি থাকলেও রফতানি বন্ধ থাকছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৮০ কোটি ভারতীয়র ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য বিতরণের জন্য সরকারের নূন্যতম ৩০.৫ মিলিয়ন টন গম প্রয়োজন। তার পাশাপাশি অন্যান্য কল্যাণ প্রকল্পের জন্য গম লাগবে কেন্দ্রের। এই পরিস্থিতিতে গম রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আপাতত দেশের চাহিদা মেটানোই মূল লক্ষ্য বলে জানাচ্ছে ভারত।

সূত্র : এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস