Naya Diganta

নিউমার্কেটে সংঘর্ষে ২ যুবককে হত্যা : গ্রেফতার ৫ শিক্ষার্থী

রাজধানীর নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়ন্দো শাখা (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা সংঘর্ষে ঘটে যাওয়া দুটি হত্যা মামলার তদন্ত করছিলাম। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ শিক্ষার্থীকে আমরা গ্রেফতার করেছি।

গ্রেফতাররা হলেন ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র আব্দুল কাইয়ূম ও পলাশ, সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র ইরফান, বাংলা বিভাগের ছাত্র ফয়সাল ও ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদ ইসলাম।

গ্রেফতাররা নাহিদ হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয় বলে ডিবি প্রধান জানান।

গতকাল বুধবার ডিবির পৃথক অভিযানে দু‘জন গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ইমন ও কাইয়ুম। এদের মধ্যে ইমনকে ঢাকা কলেজ থেকে এবং কাইয়ুমকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, নিহত নাহিদ গত ১৯ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। একটি বড় ছাতা হাতে তাকে সংঘর্ষের একদম সামনে দেখা যায় কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ধরে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে ইটের আঘাতে আহত হয়ে সড়কে পড়ে যান নাহিদ। এরপর তার ওপর নির্মম হামলা চালায় হেলমেটধারী কয়েক যুবক।

নাহিদ হত্যার পরদিন হাসপাতালে মারা যান দোকানকর্মী মুরসালিন। তাকেও কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী। মুরসালিনের হত্যাকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, সব ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ হচ্ছে, কয়েকজনকে শনাক্তও করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আবার পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নাহিদ ও মুরসালিন।