Naya Diganta

এই আর্তনাদ, এই আহাজারি ও সরকার

গত সপ্তাহে নাগরিক আর্তনাদে আরেকবার কম্পিত হলো ঢাকা মহানগরী। মানুষের আহাজারিতে চোখের পানিতে অশ্রুসিক্ত হলো জনজীবন। একই ঘটনা, দুটো মৃত্যু। অভিন্ন কারণ। যুদ্ধের কোনো অংশ নয়, তবুও জীবন দিতে হলো তাদের। ঘটনাচক্রে উভয়েরই বসবাস রাজধানীর নিম্নাঞ্চল কামরাঙ্গীরচর। একজন নাহিদ মিয়া। বয়স ১৭ পেরিয়েছে কেবল। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ছয়-সাত মাস আগে। টানাটানির সংসারে সচ্ছলতা আনতে নাহিদ একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন। কত স্বপ্ন, কত আশা ছিল। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ। জীবন নিভে গেল অকারণেই। অঘোষিত যুদ্ধে। যে যুদ্ধে তিনি কোনো পক্ষেরই অংশীদার নন?নিজের কাজের জন্য গিয়েছিলেন নিউমার্কেট এলাকায়। আর বাসায় ফিরলেন কফিনবন্দী হয়ে। নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেলের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হন নাহিদ। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সন্তান হারিয়ে বাবা বাকরুদ্ধ।

শোকার্ত বাবা বলেন, আমি বিচারের ভার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এ দেশে বিচার নেই। নাহিদের নববিবাহিত স্ত্রী আর্তনাদ করছেন। মেয়েটি বিয়ের মেহেদির রঙ মুছে যেতে না যেতেই হারাল স্বামীকে। কয়েক দিন আগে হাতে মেহেদি দিয়ে মেয়েটি লিখেছিল ‘আই লাভ ইউ, নাহিদ’। সে লেখা এখনো মুছে যায়নি। নাহিদের আহাজারিতে ঢাকার আকাশও যেন কাঁপছে। একমাত্র উপার্জনকারী নাহিদকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার। কে নেবে তার দায়ভার? ময়নাতদন্তে জানানো হয়, আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নাহিদের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছিলেন তার বাবা। পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ, সে যেন হিমালয়ের চেয়েও ভারী। যদিও বলা হয়েছে যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে নিহত হয়েছে নাহিদ; অথচ তার স্ত্রীর দাবি, শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। তার সুরতহাল প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, নাহিদের মাথায় পাশাপাশি চার জায়গায় কাটা জখম রয়েছে। তাহলে কি তাকে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করা হয়েছে? সেও কি পুরান ঢাকার সেই বিশ্বেশ্বরের মতো ভুলের টার্গেট?

আরো একটি মৃত্যু, তার নাম মুরসালিন। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার সংঘর্ষে গুরুতর আহত মুরসালিন হাসপাতালে মারা যান। নিউ সুপার মার্কেটের একটি রেডিমেড কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন মুরসালিন। তার লাশ যখন বাড়িতে পৌঁছে সেখানে বুকফাটা আর্তনাদে আছড়ে পড়ে আপনজনরা। স্ত্রী বুক চাপড়িয়ে বিলাপ করছেন আর বলছেন- আল্লাহ, এ তুমি কী করলে? আমরা এখন কাকে নিয়ে বাঁচব? এই পরিবারটি কে দেখবে? এ সময় সমবেত মানুষ বারবার চোখের পানি মুছছিল। একজন বিলাপ করে বলছে, ‘এর বিচার না হলে আল্লাহর গজব পড়বে।’ এক ছেলে এক মেয়ের সংসার ছিল মুরসালিনের। মেয়ের বয়স সাত বছর। ছেলের চার। সবারই প্রশ্ন, কে দেখবে এ শিশুদের? স্ত্রী আর্তনাদ করছিলেন আর স্বামী হত্যার বিচার চাইছিলেন। কে দেবে এই অস্বাভাবিক হত্যার জবাব? বাংলাদেশে তো এখন আর স্বাভাবিক মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরে প্রাথমিক সময়ে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি’ চেয়ে ছিলেন প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক নির্মল সেন। সে সময়ে যত্রতত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখা যেত। খুন জখম, সন্ত্রাস সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যেত প্রতিদিন। রক্ষীবাহিনীর উৎপাতে উদ্বিগ্ন থাকত মানুষ। গুণ্ডাবাহিনীর তাণ্ডবে তটস্থ শহর-বন্দর গ্রাম। দুর্ভিক্ষ আর অনাহারে মানুষ ছিল ক্লেদাক্ত। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঘোড়া দাবড়িয়ে যেত গরিব-দুঃখী মানুষকে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও দেখছি একই দৃশ্য ‘উন্নয়নের বাংলাদেশে’। যেখানেই শুরু, ফিরে এসেছি সেখানেই। ‘Once again at the starting point’. পণ্ডিত ব্যক্তিরা বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে ‘History repeats itself’. ‘আল্লাহ আল্লাহ বল ভাই, ফিরে আসলাম গোড়ায়।’

গোড়ায় গলদ ছিল; এখনো তার সুরাহা হয়নি। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার, তখন যারা ক্ষমতাসীন ছিল এখনো ক্ষমতায় তারা। তখনো স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি ছিল না, এখনো তা নেই। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই বটে! পার্থক্য অবশ্যই আছে। তখন নির্মল সেনরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পেতে লিখতে পেরেছিলেন। তখনো স্বাধীনতা কিছুটা ছিল। ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে স্বাধীনতার পৃথিবী। এখন কথা বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়। ইনিয়ে বিনিয়ে তবেই আসল কথা বলতে হয়। আইনের ফাঁকফোকর এমন যে- ছুঁলেও দোষ। তাই ছড়াকার আবু সালেহ ব্যক্ত করেন, ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা।’ আর সাধারণ মানুষের ভীত-বিহ্বল প্রশ্ন ‘কী দেখার কথা কী দেখছি, কী শোনার কথা কী শুনছি, কী ভাবার কথা কী ভাবছি, কী বলার কথা কী বলছি, ৫০ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।’

যে কথা বলার জন্য এত কথা তা হলো, নিউমার্কেট যুদ্ধে ‘রক্তাক্ত অধ্যায়’। কথায় বলে ‘বাঘে-মোষে লড়াই করে, উলু খাগড়া পড়ে মরে।’ লড়াই হয়েছে শাসকদলের একাংশ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে। আর রক্ত ঝরেছে সাধারণ মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুটপাথের হকার। দু’দিনের যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে ফেলেছেন অর্থনীতিবিদরা। এর পরিমাণ শত কোটি টাকা। সংঘর্ষের দায় নিতে রাজি নয় কেউই। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ বলেছে, তারা এর ধারে কাছেও নেই। ব্যবসায়ীরাও একই কথা বলছে। সংঘর্ষের দায় সরকারের কথা মতো, তৃতীয় পক্ষের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন তারা। তারা বলছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত বড় সংঘর্ষের পেছনে নিশ্চয়ই তৃতীয় পক্ষ রয়েছে। পুলিশও সরকারের ইচ্ছা মোতাবেক, সংঘর্ষের নেপথ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর উসকানি আবিষ্কার করছে। সরকার ইতোমধ্যে এ ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ্য, এ দেশে সব অঘটনের জন্য বিরোধীদের দায়ী করা একরকম রাজনৈতিক সংস্কৃতি। নিউমার্কেটের ঘটনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রামদা হাতে বেপরোয়া হেলমেটধারীরা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে ঢাকা কলেজের চার অস্ত্রধারী ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় তারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। সে সময়ে এদের পরিচয় জানা যায়নি। এখন জানা গেছে যে, এদের চারজনের দু’জনই ঢাকা কলেজের ছাত্র। থাকেন কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসে। একজনের নাম কাইয়ুম। অপরজনের নাম বলতে চায়নি পুলিশ। কারণ তিনি ছাত্রলীগের পদাধিকারী। দু’জনই ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ধারালো অস্ত্র হাতে রাস্তায় যাদের দেখা গেছে তাদের মধ্যে আরো দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে। তারাও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ডিবি পুলিশ বলেছে মৃত নাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হেলমেটধারী ও হেলমেট ছাড়া একাধিক ব্যক্তি পিটিয়েছে। এর মধ্যে একজনের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অনুসন্ধান ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র ও হেলমেট পরে ঢাকা কলেজের যেসব শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির চার নেতার অনুসারীরা বেশি সক্রিয় ছিল। এর মধ্যে নাহিদ হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিমউদদীন ও নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ফিরোজ হোসেনের অনুসারী। অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিভক্তি আছে। এরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত। সব গ্রুপই নানা ধরনের অপরাধ ও কেলেঙ্কারিতে জড়িত। এসব অপরাধীর যাদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। অনুসন্ধানে এদের নামধাম ও ছবি চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু রহস্যময় ব্যাপার, পুলিশের করা মামলায় বিএনপির নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও জখম করার অভিযোগে নিউমার্কেট থানায় পুলিশ বাদি হয়ে করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মকবুল হোসেনকে। এই মামলায় নাম উল্লেখ করে মকবুলসহ যে ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের সবাই নিউমার্কেট এলাকার বিএনপির নেতাকর্মী। নিউমার্কেট এলাকার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে; এর মধ্যে হত্যা মামলা দু’টি। চার মামলায় মোট আসামি ১৫৭৪। বিএনপির ২৪ জন ব্যতীত অন্যরা অজ্ঞাত পরিচয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ‘নিউমার্কেট এলাকায় সহিংস হামলাকারীরা ছাত্রলীগের। কিন্তু তাদের গ্রেফতার না করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার আবারো পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে।’

ঢাকার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের এই যুদ্ধ নতুন নয়। অনেককাল ধরে এই যুদ্ধ চলে আসছে। প্রাথমিকভাবে এটি সহনীয় ছিল। বিগত ১২ বছরে এটি সীমালঙ্ঘন করেছে। গত কয়েক বছরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে অনেকবার। অতীতে কোনো সময়ই সরকার কঠোরহস্তে ছাত্রদের এই হামলা বন্ধ করেনি। এখন এটি সরকারকেও অগ্রাহ্য করছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, শাসকদলের নেতারা মধ্যস্থতার মাধ্যমে এই সংঘর্ষ বন্ধ করতে পারেননি। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতি নমনীয় আচরণের কথা পুলিশ স্বীকার করেছে। পরে যখন কঠোর হয়েছে তখন চ্যানেলে অডিও ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর আদেশ দেখানো হয়েছে। প্রশাসন তথা পুলিশ কতটা অকার্যকর হলে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও আদেশ প্রদর্শন করতে হয় তা সহজেই অনুমেয়। নিজ অপরাধীদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার যে নীতি দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতাসীনরা অনুসরণ করছে- এটি তারই বিষময়ফল। বস্তুত চাঁদাবাজি ক্ষমতাসীন সরকারের শাসনব্যবস্থায় অনিবার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের এই বাণিজ্যের অংশীদার এর নেতানেত্রীরা। নিউমার্কেটের যুদ্ধ সম্পর্কে খবর এসেছে যে, ‘ঢাকা কলেজে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন নিউমার্কেটের দখল নিতে চায়। আর দক্ষিণের মেয়রও দখল বজায় রাখতে চান। এ কারণেই মারধরের শুরু। এ কারণেই সম্ভবত পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’

সরকার যে দ্রুত অকার্যকর হয়ে পড়ছে নিউমার্কেটের ঘটনা তার প্রমাণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার যে মৌলিক দায়িত্ব সরকারের রয়েছে তা পালন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। সহসাই প্রশ্ন আসে, একটি সামান্য সংঘর্ষ দমনে যারা ব্যর্থ হলো, তারা দেশ রক্ষার যুদ্ধে কী করে সফল হবে? অকারণে যাদের জীবন গেল তাদের দায়ভার কে নেবে? অকালে ঝরে গেল যে দুটো প্রাণ তার উত্তর কী? যে সরকার সাধারণ নাগরিকের জীবনও রক্ষা করতে পারে না তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার থাকে কি? একজন প্রশ্ন করেছেন, রাতদিনজুড়ে সংঘর্ষ হলো; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থামাতে পারলেন না। তাদের ব্যর্থতায় দু’জন নিরীহ মানুষের প্রাণ গেল। তাই এর দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, এত উন্নয়নে কী লাভ যদি মানুষের জীবনই নিরাপদ না হয়?

তিনি দুঃখ করে বলেন, দোকানদার বা ছাত্রলীগ কোনো পক্ষেরই মানুষ ছিলেন না তারা। অথচ তাদের অকারণেই জীবন দিতে হলো। আর এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ। এই যদি হয় বর্তমান তাহলে সেই ‘বর্তমান’কে ধারণ করার ক্ষমতা সাধারণ জনগণের নেই। ধারণ করার ক্ষমতা যদি না থাকে তাহলে পরিবর্তন প্রত্যাশিত। আর সেই পরিবর্তনকে অনিবার্য করে তোলার দায়িত্বও জনগণের।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com