Naya Diganta

হেমায়েতপুরের পাঁচ গম্বুজ মসজিদের অজানা কথা

ঢাকার হেমায়েতপুরে যেসব পৌরাণিক স্থাপত্য রয়েছে তারমধ্যে রাজফুলবাড়িয়া শাপলা হাউজিংয়ের পাচঁ গম্বুজ দরবার শরীফ শাহী জামে মসজিদটি অন্যতম। এটি খবির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে মসজিদটি টিন শেডে তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে (১৯৭১ সালে) প্রতিষ্ঠাতা এটিকে দালানের মাধ্যমে পাঁচ গম্বুজ মসজিদে রূপ দেন।

প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ খবির উদ্দিনের পৈতৃক নিবাস ছিল ভারতের বর্ধমানে। তিনি দীনকে মোহব্বত করেন তাই হেমায়েতপুরে এসে ১৫ শতাংশের ওপর মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির আলাদা আলাদা চারটি ফটক রয়েছে। সামনের দিকে তিনটি ফটক এবং একটি ফটক মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। মসজিদকে কেন্দ্র করে সামনে একটি চারকোণাকৃতি ফাঁকা আঙ্গিনা রয়েছে। জুমার দিন যেটি মুসুল্লি দিয়ে ভরে যায়। তখন মুসুল্লি হয় ৬০০-৭০০ জন আর সাধারণ দিনগুলোতে মুসুল্লি থাকে ৩০ থেকে ৪০ জন।

মসজিদের আঙ্গিনার বাঁ-দিকে রয়েছে একটি নান্দনিক অজুখানা।

পাঁচ গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমাম হাফেজ ফজলে রাব্বি (৫৫) বলেন, মসজিদটি দেখতে বেশ সুন্দর। আমি প্রায় দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে এখানে ইমামতি করছি। এ মসজিদের প্রতি আমর একটা আলাদা টান তৈরি হয়েছে। আমি ইমামতি করতাম ঢাকাতে, এখানকার একলোক ঢাকাতে থাকতেন। তিনি আমাকে এই মসজিদে ইমামতির কথা বললে আমি এখানে দেখতে আসি আর তখনই এখানকার পরিবেশ আমার পছন্দ হয়। নিরিবিলি পরিবেশ। ইবাদতের জন্য বেশ যুতসই, তাই তখন থেকেই এখানে ইমামতি শুরু করি।

আহমাদুল্লাহ মুল্লুক চাঁন নামের ৪৫ বছরের প্রবীন এক মুসুল্লি বলেন, মসজিদটি আমার বেশ ভালো লাগে। আমি অন্য এলাকা থেকে এখানে নামাজ পড়তে চলে আসি। শৈশবে আমরা দেখতাম এ মসজিদের মুরুব্বিরা সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এখানে ইবাদত করতেন, জিকির-আজকার করতেন। রমজান মাসে এখানে ইফতার বিতরণ করতেন। আর আমরা সেই ইফতার বাসায় নিয়ে খেতাম।

মসজিদটির উত্তর পূর্বকোণে আম ও পানিফল গাছ রয়েছে, যা মসজিদের শোভাবৃদ্ধি করছে। এখন মসজিদটির বয়স ৫৭ বছর। আর তিন বছর অতিক্রম করলে ৬০ বছর তথা পাঁচ যুগ পূর্তি হবে মসজিদটির।